জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
গাজরের দামে ক্রেতারা কী, আমি নিজেই হতবাক হয়ে যাচ্ছি। এতো দামে গাজর বিক্রি হবে কল্পনাতেও আসেনি। আমাদের তো কিছু করার নাই। পাইকারি বাজারে বেশি দামে কিনলে তো আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে।
কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর উত্তরা এলাকার সবজি বিক্রেতা মো. ওবায়দুর। গাজরের এতো দাম কেন জিজ্ঞাসা করতেই এভাবেই নিজের অভিব্যক্ত প্রকাশ করেন এ দোকানি। ১৫ বছর ধরে সবজি বিক্রির অভিজ্ঞতায় গাজরের এতো দাম কখনো হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
বাজারে সবজি কিনতে আসা আরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এ এক আজব দেশ। কখন কোন পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হবে তা বোঝার উপায় নেই। যে গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়, সেই গাজর আজ প্রায় আড়াইশ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। কাঁচাবাজারে প্রবেশ করলে একটা না একটা পণ্যের দামে হতবাক হতেই হবে। কোনো কিছুরই যেন ঠিক নেই।’
রাজধানীর উত্তরা এলাকার জহুরা মার্কেটের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দোকানে খুবই অল্প পরিমাণে গাজর সাজিয়ে রাখা আছে। অনেক ক্রেতাই গাজরের দাম শোনার পর তা না কিনে অন্য সবজির দিকে নজর দিচ্ছেন। কেউ কেউ গাজরের এতো দাম কেন বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসা করছেন।
বিক্রেতারা জানান, আমদানি করা এসব গাজর বর্তমানে আকার ও মানভেদে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি গাজরের (মান নিম্ন) দেখা অল্প পাওয়া গেল, দামেও কিছুটা কম। কেজি ১২০ টাকা।
আমদানি করা গাজরের এতো দাম হওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা তেমন কোনো যুক্তি দেখাচ্ছেন না। তারা বলছেন, পাইকারি বাজারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বাজারে তারা এ দামে বিক্রি করছেন। এছাড়া বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। অন্য সবজির দামও বেশ চড়া।