আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি ত্রাণকেন্দ্রে ভিড়ে চাপা পড়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরায়েল পরিচালিত গাজা মানবিক ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি ত্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জিএইচএফ জানিয়েছে, খান ইউনিসের কাছের ত্রাণকেন্দ্রে ১৯ জন চাপা পড়ে আর একজন ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। সংস্থাটি দাবি করেছে সেখানে হামাস বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে।
তবে গাজার মিডিয়া অফিস এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে জিএইচএস তাদের অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ২১টি মরদেহ পেয়েছে। যারা কাঁদানে গ্যাসে দমবন্ধ ও চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।
গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ত্রাণকেন্দ্রের সরু পথের গেইট বন্ধ করে সেখানে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জিএইচএসের নিরাপত্তা রক্ষীরা। এরপর আটকে পড়া এসব মানুষের মধ্যে কাঁদানে গ্যাস ও সরাসরি গুলি ছোড়ে তারা।
সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, নাসের হাসপাতালে একটি মালবাহী গাড়িতে করে ছয় বালকের মরদেহ আনা হয়েছে। তারা ত্রাণকেন্দ্রের বেড়ার সঙ্গে ছিল। অন্য মানুষের চাপায় পড়ে এই বালকেরা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, “তারা হলো শিশু। ত্রাণের জন্য মারা গেলো, তাদের দোষ কী? ত্রাণকেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে কি হয়েছে। বিদেশিরা (ত্রাণকেন্দ্রের) এখানে সেখানে বেড়া তৈরি করেছে। এই বালকেরা সামনে গিয়েছিল। এরপর মানুষ এসে তাদের চাপা দেয়।”
সূত্র: বিবিসি