ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজার হাসপাতালগুলো ঘিরে বড় ধরনের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সেখানকার প্রধান দুটি হাসপাতালও বন্ধ থাকায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি হামলার কারণে একটি হাসপাতালে পড়ে থাকা শতাধিক মরদেহ দাফন করা যাচ্ছে না।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জ্বালানিসংকট; বিদ্যুৎ না থাকা; চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার ও পানির অভাবে গাজার হাসপাতালগুলোয় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন সেখানকার লোকজন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অপরিণত তিন নবজাতকও রয়েছে। এই হাসপাতালে শতাধিক মরদেহ পড়ে আছে। হামলার কারণে এসব মরদেহ দাফন করার মতো পরিস্থিতি নেই।
আল-শিফা হাসপাতাল চত্বরে দুই দিন আগে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ১৩ জন নিহত হন। গতকাল সেখান থেকে নারী-শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের একটি দল বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালান ইসরায়েলি সেনারা।
গাজার ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে ভয়াবহ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জ্বালানিসংকট ও ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার ৩৬টি হাসপাতালের ২০টি বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা এ তথ্য দিয়েছে। অবশ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতালের সংখ্যা ২১টি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট।
বিএসডি/ এফ এ