গাজা ভূখণ্ডে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্যসামগ্রী সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। খবর আল জাজিরার।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ‘হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস’ করার পদক্ষেপগুলো অনুমোদন করেছে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করবে ইসরায়েল।
ইসরায়েল থেকে ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে এবং সেই বিদ্যুতই এই ভূখণ্ডের প্রায় সকল অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানের ‘প্রথম পর্যায়’ শেষ হয়েছে এবং হামাস যোদ্ধাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ইসরায়েল।
এর আগে ইসরায়েলিদের তৈরি অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে আকস্মিক হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের হামাস। শনিবার সকাল থেকে চালানো এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০।
এদিকে গাজার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৩০–এরও বেশি। আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার জন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ গাজার সাতটি এলাকার বাসিন্দাদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে।
বিবিসিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাজায় অনেক পরিবার ঘর ছেড়ে পালানো শুরু করেছে। তারা জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) গাজাবাসী ইসরায়েলের বিমান হামলার বর্ণনা দিয়েছেন। তারা বলছেন, ইসরায়েল নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।
বিএসডি/এসএস