ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় কমপক্ষে ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি।
গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের বরাত দিয়ে রোববার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজায় রাতভর বিমান হামলায় অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা আরও তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা হয়।
এছাড়া রাতভর হওয়া এই হামলায় ৩০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, এই হামলা সীমান্তের আশপাশে থাকা ইসরায়েলি বাহিনীর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। তিনি গাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আরও দক্ষিণে সরে যেতে বলেছেন, বিশেষ করে যারা গাজা শহরে বসবাস করছেন।
পৃথকভাবে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরও মারাত্মক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অধিকৃত ওই ভূখণ্ডে চালানো হামলার সময় জেনিনের একটি মসজিদে বোমাবর্ষণ করা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ওই মসজিদকে ‘সন্ত্রাসীদের কমান্ড সেন্টার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
এদিকে আল জাজিরা বলেছে, গাজায় খান ইউনিসে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা অনুসারে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণে অবস্থিত খান ইউনিসের একটি ক্যাফেতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
জালাল স্ট্রিটের রিও ক্যাফেতে এই বোমা হামলা চালানো হয়। বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার পর উত্তর গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খান ইউনিসে আশ্রয় নিয়েছেন। আর সেখানেই এই হামলা হলো।
উদ্ধারকারী দলসহ স্থানীয় অন্য নাগরিকরা এখনও হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি করছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি।
যদিও ইসরায়েল দাবি করছে তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে হামাসের যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাজার বেসামরিক মানুষ।
বিএসডি/এমএম