আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) রোববার (১৮ মে) উপত্যকাটিতে স্থল হামলা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, আজ ভোর থেকে সন্ধ্যা— এই কয়েক ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই ১৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যমটিকে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ১৪০ জনের মধ্যে ৬৯ জনই প্রাণ হারিয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলে। যেখানে দখলদাররা সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।
এর আগে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসির একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার সময় সেখানকার মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় চালানো ওই হামলায় শিশুসহ কয়েক ডজন মানুষ নিহত হন।
গাজায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরুর কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আজ এক বিবৃতিতে বলেছে “গতকাল, অপারেশন গিডিয়ন চ্যারটের অংশ হিসেবে আমাদের দক্ষিণ কমান্ডের স্যান্ডিং এবং রিজার্ভ সেনারা উত্তর ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরু করেছে।”
প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, স্থল হামলায় সহযোগিতা ও হামাসের পাল্টা হামলা প্রতিহতে গত এক সপ্তাহে তাদের বিমানবাহিনী হামাসের ৬৭০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। যার মধ্যে ছিল হামাসের বিভিন্ন সেল, সুড়ঙ্গ এবং ট্যাংক বিধ্বংসী সাইট।
এখন পর্যন্ত হামাসের কয়েক ডজন সদস্য এবং বেশ কিছু অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। এছাড়া গাজার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো দখল করে রাখার তথ্য জানিয়েছে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বসতি (অবৈধ) স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের রক্ষায় এই হামলা প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে এবং বিমানবাহিনী এতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলিদের বিমান হামলায় গাজায় পাঁচশর বেশি যেসব মানুষ নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। দখলদার ইসরায়েল হামাসের সদস্যদের হত্যার দাবি করলেও; তাদের হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।
ইসরায়েলিদের হামলার কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলের সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে করে আহত মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছেন।
সূত্র: আলজাজিরা