কোনাবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, গাজীপুরের ভোগড়া এলাকা থেকে টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত যেতেই আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। সড়কের দুই পাশ দিয়ে পানি জমে থাকায় বাস থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ার উপায় নেই।
ট্রাফিক পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মহাসড়কে চলমান কাজ ও বৃষ্টির কারণে প্রায় দিনই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শিল্পনগরীর হাজার হাজার অফিসগামী মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে। যানজটের কারণে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ারও উপায় থাকে না। সড়কের দুই পাশে জমে থাকে পানি।
মহানগরীর ভোগরা এলাকার বাসিন্দা আবদুল লতিফ বলেন, সকালে স্টেশন রোড এলাকায় বালুভর্তি একটি বড় ট্রাক উল্টে যায়। এ কারণে দীর্ঘসময় ওই রাস্তায় যান চলাচল করতে পারেনি। বৃষ্টি হলেই এমন সমস্যা হয়। তাই যানজট নিরসনে সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা দরকার। বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে। মহাসড়কের দুই পাশে গভীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলেও সেগুলো এখনো সচল হয়নি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এবং অতিবৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। এতে যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারে না। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি যানবাহন বিকল হয়ে যায়। এসব কারণে সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা যানজট নিরসনে কাজ করছে।