প্রযুক্তি ডেস্ক:
ফটো এবং ভিডিও ব্যাকআপ টুল হিসেবে ‘গুগল ফটোস’ একটি দারুণ আকর্ষণীয় অ্যাপ। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট যেকোনো ডিভাইসে এটি ব্যবহার করা যায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক গুগল ফটোসের সেরা পাঁচটি ফিচার সম্পর্কে।
গুগল ফটোসের মাধ্যমে ফটো ও ভিডিও এডিট করা যায়। ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের পাশাপাশি মোবাইল ব্যবহারকারীরা সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই ফিচারের মাধ্যমে ইউজাররা ছবির সময় এবং তারিখও এডিট করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, ফটো বা ভিডিওতে সোয়াইপ করার পর ডানদিকে ‘এডিট’ অপশনে যেতে হবে। এই অপশনের মাধ্যমে সহজেই সময় এবং তারিখ এডিট করতে পারবেন। তবে এজন্য অবশ্যই অ্যাপটির লেটেস্ট ভার্সন ব্যবহার করতে হবে।
কোলাজ বা মুভি তৈরি
গুগল ফটোসের মাধ্যমে ছবি ব্যবহার করে মুভি বা কোলাজ তৈরি করা যায়। মোবাইল সংস্করণের লাইব্রেরি বিভাগে এই অপশনটি পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি মুছে ফেলা ছবি বা ভিডিও পুনরুদ্ধার
আপনি যদি সম্প্রতি গুগল ফটোসে আপনার ছবি বা ভিডিও মুছে দেন, তাহলে সেগুলোকে ট্র্যাশ বিভাগ থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে লাইব্রেরি বিভাগে যেতে হবে। সেখানে আপনি একটি ট্র্যাশ বিভাগ দেখতে পাবেন। যদি মুছে ফেলা ছবি বা ভিডিও ট্র্যাশে থেকে থাকে তাহলে তা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। তবে ইতোমধ্যে ট্র্যাশ থেকে স্থায়ীভাবে মুছে ফেলে থাকলে পুনরুদ্ধার করতে পারবেন না।
স্পেস বাড়ানো
গুগল ফটোসে রয়েছে একটি স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট টুল, যেটি ব্যবহার করে স্টোরেজ স্পেস দ্রুত খালি করা যায়। এই টুল ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার অপ্রয়োজনীয় ফটো এবং ভিডিও মুছে ফেলতে পারবেন। এতে অনেক বেশি স্পেস বা জায়গা খালি পাবেন।
কীভাবে আপনি এই টুল ব্যবহার করবেন দেখা নিন- অ্যাকাউন্ট সেটিংস> ব্যাক আপ এবং সিঙ্ক সেটিংস> ম্যানেজ স্টোরেজ- এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই ফোনের স্পেস বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আর্কাইভে ফটো স্থানান্তর
অ্যাপে থাকা ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও গোপন করতে চাইলে সেগুলো আর্কাইভে স্থানান্তর করে রাখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে তা হলো- লাইব্রেরি> ইউটিলিটি> ফটো আর্কাইভ। ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও আর্কাইভে আড়াল করে রাখতে পারবেন সহজেই।
বিএসডি/আইপি