২৫ নভেম্বর, ফুটবলপ্রেমীদের জন্য দুঃস্বপ্নের এক দিন! গেল বছর এই দিনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ৬০ বছর বয়সে তার এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অনেক ভক্ত। ২০২০ সালের এই দিনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চির বিদায় নিয়েছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি এই ফুটবলার। চিকিৎসকের গাফিলতি নাকি অন্য কোন কারণে মারা গেছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা, তার উত্তর আজও অজানা।
বছর পেরিয়ে গেলেও এখন প্রিয় ফুটবলার, মেন্টরের জন্য কাঁদেন লিওনেল মেসি। ম্যারাডোনার সঙ্গে তার সম্পর্কের গভীরতার কথা জানা আছে অনেকেরই। গুরু-শিষ্যের বন্ধন বলে কথা। বৃহস্পতিবার ডিয়েগো ম্যারাডোনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র সঙ্গে কথা বলেন মেসি।
প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের আর্জেন্টাইন মহাতারকা বলছিলেন, ‘চোখের পলকে এক বছর পেরিয়ে গেছে, অবিশ্বাস্য লাগছে। আর্জেন্টিনা এত বছর পর শিরোপা জিতল। অথচ তিনি নেই। সত্য হলো এটা অদ্ভুত এক অনুভূতি তিনি নেই, মন থেকে বিশ্বাস হতে চায় না। সব সময়ই মনে হয়, টিভিতে কিংবা সংবাদমাধ্যমে দেখবো তাকে। কোনো বিষয়ে হয়তো মতামত দেবেন নিজের। এতগুলো দিন পেরিয়ে গেল কিন্তু মনে হচ্ছে সেদিনের ঘটনা। আমি সেরা স্মৃতিগুলোই মনে রাখব। তার সঙ্গে কিছু ভাগ করতে পারায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়।’
গুরু ম্যারাডোনার জন্য অশ্রু সজল হয়ে উঠেন মেসি। মনে পড়ে প্রতিটি সাফল্য আর ব্যর্থতার দিনেও। এ বছরের জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের পর যেমনটা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই এটা ডিয়েগোর জন্যও, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।’ মানে শিরোপাটা উৎসর্গ করেন প্রিয় মানুষটিকে।
ম্যারাডোনা বেঁচে থাকতে মেসি জাতীয় দলের হয়ে কোন ট্রফি পাননি। তবে তিনি মারা যেতেই মিলল তার প্রথম ট্রফি। এখনো লড়ে যাচ্ছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে সামনে বিশ্বকাপেও চোখ আছে মেসির। যার খেলায় এখনো ভক্তরা খুঁজে পান ম্যারাডোনার সেই ড্রিবলিং, নিখুঁত সব পাস আর গোলের ছায়া!
বিএসডি/এসএসএ