নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদক দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার দুই পুলিশ ও তাদের দুই সোর্সের বিরুদ্ধে করা মামলায় শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার হন দুই পুলিশ। তারা হলেন- শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী ভুইয়া ও সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জিয়াউর রহমান।
তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহজাহান মন্ডল। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার দুই পুলিশের বিরুদ্ধে নিজেদের কর্মস্থল শেরেবাংলা নগর থানায় ভিকটিম আমির হোসেন বাদী হয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী ভুইয়া ও সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জিয়াউর রহমান এবং তাদের দুই সোর্স সোহাগ ও নাদিম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী আমির হোসেন গত ৯ সেপ্টেম্বর সাংগঠনিক কাজে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে আসেন। পার্টি অফিস থেকে বন্ধু অভির সাথে তার বাসা সাভার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে তারা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সামনে নেমে যান। এরপর আসামি ইউসুফ মোটরসাইকেল করে এসে বাদীকে বলেন তারা সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছে তার কাছে মাদক আছে। পরে জিয়াউর রহমান ও আরও দুই আসামি পুলিশের সোর্স বাদীকে তল্লাশি করে মাদক না পাওয়ায় বাদীর মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরপর বাদী ও বাদীর সঙ্গে থাকা বন্ধু অভিকে সহ আসামিরা যক্ষ্মা হাসপাতালে সামনে নিয়ে যান। এরপর বাদীর কাছে আরও ১৩ হাজার টাকা দাবি করেন।
তখন বাদী বলেন, তার সিটি ব্যাংকে একাউন্টে ১৩ হাজার টাকা আছে। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে দুই সোর্স সিটি ব্যাংকের বুথে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাদী ডাক-চিৎকার করলে করেছে আসামিরা পালিয়ে যায়।
বাদী অভিযোগে আরও বলেন, বাদী এটিএম বুথ থেকে তার সঙ্গে থাকা পরিচিত বন্ধু অভির কাছ থেকে জানতে পারে, বাদীকে যখন এটিএম বুথে নিয়ে যায় এ সময় অভির মায়ের কাছ থেকে আসামিরা বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
মামলার অপর দুই আসামি পুলিশের সোর্স সোহাগ ও নাদিমকে গ্রেফতার করা যায়নি।