ক্রীড়া ডেস্ক,
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিয় মিত মুখ হলেও টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি অভিজ্ঞ নন ম্যাট হেনরি। ৫৫টি ওডিআই-এর বীপরিতে ক্ষুদ্র ফরম্যাটের মাত্র ৬টি ম্যাচ খেলেছেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। তবে করোনাভাইরাসে ফিল অ্যালেন আক্রান্ত হওয়ায় ফের তাকে সুযোগ করে দিয়েছে এ সংস্করণে। প্রতিপক্ষও বাংলাদেশ। যে দলটির বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে হেনরির। কিন্তু একটি জায়গায় এক ‘নতুন’র মুখোমুখি হতে হবে গতি তারকাকে। এর আগেও সবগুলো ম্যাচই যে খেলেছেন নিজ দেশের মাটিতে কিংবা অন্য দেশে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সুযোগ পেয়ে ভালো খেলতে মুখিয়ে আছেন তিনি। গতকাল অনলাইনে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে সে কথাই তিনি জানালেন।
২০১৭ সালে নেপিয়ারে খেলেছেন একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেটি এই সংস্করণে হেনরির নিজেরও সর্বশেষ ম্যাচ। অ্যালেন ব্যাটসম্যান হলেও হেনরি নিজে বোলার হওয়ায় মজা করে বললেন, ‘ব্যাটিংয়ে ওপেন করার সুযোগটা তো দারুণ। কিন্তু আমি তোর তার সদৃশ (লাইক ফর লাইক) বিকল্প নই। তবে বাংলাদেশে স্কোয়াডের সঙ্গে যোগ দিতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।’ বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে হেনরি বললেন, ‘এর আগে কখনো বাংলাদেশে যাইনি। এবারই প্রথম সেখানে যাব।’ বাংলাদেশের কন্ডিশন অজানা থাকলেও ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনে খেলার উদাহরণ দিয়ে হেনরি জানালেন, তিনি ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী, ‘ভারতে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছি। তাই সেখানে অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়েই যাব।’
সর্বশেষ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদশের ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উদাহরণ টেনে হেনরি বলেন, ‘সর্বশেষ সিরিজে সেখানে বেশ কিছু কম স্কোরের ম্যাচ হয়েছে। চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। গত মৌসুমে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি খেলেছি। অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে।’ ঘরের মাঠে নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশকে খুব শক্তিশালী দল বলেই মনে করেন হেনরি, ‘গত কয়েক বছরে আমি বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি। কিন্তু সেগুলো ছিল নিজেদের কন্ডিশনে, সে অভিজ্ঞতাটা ওখানে (বাংলাদেশে) ভিন্ন হবে। সাম্প্রতিক সিরিজ গুলোয়ও বাংলাদেশ খুব শক্ত দলের পরিচয় দিয়েছে। ঘরের মাঠে তারা খুব শক্ত দল।’
বাংলাদেশের কন্ডিশন মাথায় রেখে এখানে আসার আগে লিংকনে অনুশীলন করে এসেছে নিউজিল্যান্ড দল। হেনরি মূলত পেসার হলেও বাংলাদেশের কন্ডিশনে বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের গুরুত্বটা ধরতে পারলেন, ‘লিংকনে আমরা মন্থর উইকেটে অনুশীলন করেছি। অনেক বৈচিত্র্য থাকবে এবং বোলিংটা প্রথাগত হবে না। এমন কন্ডিশনে বল করার অভিজ্ঞতা আছে আমার।’
বিএসডি/এএ