কলা ও মধুর ফেস মাস্ক
প্রথমে একটা পাকা কলা ভালোভাবে চটকে নিতে হবে। এরপর দুই টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ গ্লিসারিন ও একটা ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে সঠিকভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চটকানো কলার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, এর সঙ্গে পানি মেশানো যাবে না। এবার সামান্য মাস্ক মুখে লাগিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর বাকি মাস্ক চাইলে মুখসহ গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ক্লান্ত ত্বককে সতেজ করতে এই মাস্ক দারুণ কাজে দেয়। তবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
শসা ও ওটমিল ফেস মাস্ক
একটি অথবা দুটি শসা খোসাসহ ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এর সঙ্গে আধকাপ টক দই ও আধকাপ ওটমিল ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মুখে-গলায় লাগিয়ে নিতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে খুবই হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি মুখের অতিরিক্ত তেল দূর করে। মুখের ত্বকের কোষগুলোকে সজীব করে।
আমন্ড ফেস মাস্ক
এক মুঠো আমন্ড ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মিহি করে বেটে অথবা ব্লেন্ড করে নিতে হবে। সঙ্গে আধকাপ বেসন ও তিন–চার চামচ দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্ট মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বক থেকে রোদে পোড়া কালচে ভাব দূর করে। ত্বক কোমল করে।
টকদই ও মধুর ফেস মাস্ক
দুই টেবিল চামচ টক দই, এক চা-চামচ মধু, এক চা-চামচ লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ আর এক চা-চামচ কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের আর্দ্রতা বাড়বে, ত্বক উজ্জ্বল হবে।
পুদিনা ফেস মাস্ক
মুলতানি মাটি, থেঁতো করা শসা, পুদিনাপাতা আর গোলাপজল মিশিয়ে সহজেই মাস্ক তৌরি করা সম্ভব। এটি ত্বকের জন্যে খুবই উপকারী। মাস্কটি অন্তত ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, মাস্কটি যেন মুখে পুরোপুরি শুকিয়ে না যায়।
বিএসডি/এএ