নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঘুষ ছাড়া মেলে না বিদ্যুতের নতুন সংযোগ! নতুন সংযোগ পেতে গ্রাহকদের ছয় থেকে ১০ হাজার টাকা গুনতে হয়। সাতক্ষীরা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আওতায় গ্রাহকরা এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম বিদ্যুৎ অফিসে অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রাহক ভোগান্তির বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার দুদকের সহকারী পরিচালক শফিউল্লাহ বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নতুন সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক টিম। টিম সরেজমিনে বিদ্যুৎ অফিস পরিদর্শন এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন সংযোগ পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর তালিকা যাচাই-বাছাই হয়। টিম বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বক্তব্য শুনেছে। সংগ্রহ করা কাগজপত্র ও বক্তব্য যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পেতে ইঞ্জিনিয়ারকে (প্রকৌশলী) আগে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষের টাকা ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেশকিছু কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অফিস থেকে নতুন সংযোগ পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি তিন হাজার টাকা হলেও বর্তমানে ছয় থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মীর বক্তব্যের সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ অফিসে মোট ২০ ব্যক্তি ঊর্ধ্বতনদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। ঘুষের টাকা নিয়েও তারা গ্রাহকদের মাসের পর মাস ঘোরান। নতুন সংযোগ নিতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।
বিএসডি / আইকে