আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাপানে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর ভূমিধস ও বন্যার ব্যাপারে উদ্ধারকর্মীরা সতর্ক করে দিয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, রবিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় নানমাডল জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের কিউশু দ্বীপে আঘাত হানার পর ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো ৯০ জন।
৯০ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে এবং সাড়ে তিন লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।
জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বানের পানিতে গাড়ি ভেসে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভূমিধসে অপরজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত একজন নিখোঁজ রয়েছে দেশটিতে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নানমাডল ঘণ্টায় ২৩৪ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে এনেছে। এটি চার বা পাঁচ নম্বর ক্যাটাগরির হ্যারিকেনের সমতুল্য। নানমাডলের প্রভাবে টোকিওতে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমনকি বন্যার কারণে টোজাই পাতাল রেল পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। বুলেট ট্রেন পরিষেবা, ফেরি চলাচল এবং শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নিউইয়র্ক সফর বিলম্ব করছেন। সেখানে গিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে তার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে দেশেই অবস্থান করছেন তিনি।
বিএসডি/এফএ