নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঁচটি ইউনিটের পারিবর্তে ৪টি ইউনিটের (ক,খ,গ,চ) অধীনে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটকে কলা অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। সোমবার সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঘ’ ইউনিট না রাখার বিষয়ে আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজকের সভায় সেটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তা চূড়ান্ত হবে।
উপাচার্য আরো বলেন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘খ’, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ এবং চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটে আমরা ভর্তি পরীক্ষা এবং শিক্ষার্থী ভর্তি নেব। ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ইউনিট পরিবর্তনের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ডিনস্ সাব কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আসন সংখ্যা পুনর্র্নিধারণ বিষয়ে ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা এর আগে বিভাগ থেকে ডিন অফিসের মাধ্যমে বিভাগওয়ারী বা ইনস্টিটিউটওয়ারী শিক্ষার্থী ভর্তির একটা সুপারিশ পেয়েছিলাম। সেটা পাওয়ার পর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে কত জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে সে বিষয়ে ডিনদের একটা সভায় পুনঃবিবেচনা করে যে সংখ্যাটা নিরূপন করা হয়েছিল সেটার জাস্টিফিকেশন আজ করা হয়েছে। ভর্তির যৌক্তিক আসন সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণীতও হয়েছে। এই সুপারিশ অনুমোদনের জন্য পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, পরিচালন সক্ষমতা ও চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী আসন পুনর্র্নিধারণ করার বিষয়ে সুপারিশ এনে গত জনুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় ডিনস কমিটি।
ওই প্রতিবেদনে ৪৪টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী আসন কমানোর সুপারিশ করা হয়। আর আসন বাড়ানোর কথা বলা হয় ১৫টিতে। বাকি ২৬ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার কথা বলা হয়। ডিনস কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ১ হাজার ১৫টি আসন কমবে।