নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়ন থেকে মাকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাবেন রমিজ উদ্দিন। মায়ের শ্বাসকষ্ট।
তাই মাকে নিয়ে সকাল ১১টায় হাসপাতালের দিকে রওনা দেন। কিন্তু বেলা ১২টার দিকে নগরের টেকনিক্যাল মোড়ে থেকে দুই নম্বর গেইট পর্যন্ত দীর্ঘ যানযট। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই বসে থাকতে হয়েছে রমিজকে।
শুধু রমিজ নন, মিজানুর রহমান নামের আরেক যাত্রীও জ্যামে পড়ে সিএনজিতেই বসেছিলেন ১ ঘণ্টা। তিনি তার বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাবেন সাড়ে ১২টায়। জ্যামে থাকতেই ঘড়ির কাঁচা পার হয়েছে সাড়ে ১২টার ঘর।
ফুডপান্ডায় খাবার ডেলিভারি দেন রহিম উল্লাহ। অর্ডার নিয়েছেন বেলা ১২ টায়। দিতে হবে সাড়ে ১২ টায়। কিন্তু দুই নম্বর গেইটে জ্যামে পড়ে সেখানেই সাড়ে ১২টা বেজে গেছে৷ নির্দিষ্ট সময়ে অর্ডার ডেলিভারি দিতে না পেরে বকাঝকা শুনতে হয়েছে তাকে।
এ ছাড়া স্কুল ও কলেজগামী অনেক শিক্ষার্থীরাও জ্যামে বসে বিরক্ত হচ্ছিলেন। সকাল থেকে ক্লাস-অ্যাসাইনম্যান্ট জমা দিয়ে বাসায় গিয়ে একটু বিশ্রাাম নেবে। কিন্তু সময় চলে গেছে জ্যামেই। জ্যামে পড়ে অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেকেই অসুস্থও হয়েছেন।
স্কুল শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ইবনে রফিক বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সময় জ্যামে বসে আছি। একদিকে গরম অন্যদিকে ক্লান্তি। ফ্লাইওভার থাকলেও প্রায় সময় দুই নম্বর গেইটে যানজটে পড়তে হয় আমাদের। খুবই কষ্ট লাগে।
দুই নম্বর গেইট এলাকার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. সুমন জাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, বায়েজিদ সংযোগ সড়ক চালু হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গাড়ি বিশেষ করে ঢাকা থেকে প্রায় গাড়ি সেই রোড দিয়ে দুই নম্বর গেইট দিয়ে যাচ্ছে। তাই এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিএসডি/আইপি