নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪১ ওয়ার্ড এলাকা থেকে গত জানুয়ারি থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চসিক পারিবারিক আদালতে ডিভোর্সের (তালাক) আবেদন জমা পড়েছে ৫ হাজার ১৭৪টি। সে হিসাবে চসিকে প্রতিদিন গড়ে ডিভোর্সের আবেদন জমা পড়েছে ১৫টি করে। প্রতি এক ঘণ্টা ৩৬ মিনিটে একটি করে ডিভোর্স হচ্ছে। চসিকের সালিশি পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ডিভোর্সের আবেদন জমা পড়েছিল ৪ হাজার ৫৫০টি, এর মধ্যে প্রত্যাহার (আবেদনের পর উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে) করা হয় মাত্র ৯৭টি। ২০২০ সালে জমা পড়েছিল ৪ হাজার ৮৫৩টি, এর মধ্যে প্রত্যাহার করা হয় ৯৩টি। ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমাকৃত আবেদনের মধ্যে প্রত্যাহার করা হয় ১১৯টি। ২০১৯ সালে চসিক এলাকায় ডিভোর্সের হার ছিল প্রতিদিন গড়ে ১২টি এবং ২০২০ সালে তা বেড়ে হয় ১৩টি এবং ২০২১ সালে ১৫টি। তবে বাস্তবে এ হার আরও কয়েক গুণ বেশি। কারণ নিম্নমধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবীসহ অনেক পরিবারের ডিভোর্স স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে ঘটছে। এসব বিবাহ বিচ্ছেদের হিসাব চসিকে আসে না। চসিকের আইন কর্মকর্তা (যুগ্ম জেলা জজ) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী সময়ে ডিভোর্সের হার বেড়েছে। বর্তমানে চসিক এলাকায় গড়ে প্রতিদিন ১৫টি করে ডিভোর্স হচ্ছে। এটি খুবই চিন্তার বিষয়। বেশ কিছু বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে বিয়ের মাত্র এক বা দুই বছরের মধ্যেই। আবার মধ্যবয়স্ক মানুষের মধ্যেও ডিভোর্স হচ্ছে। ডিভোর্সের এই প্রবণতা আমাদের সমাজের জন্য মোটেও ভালো নয়।
ডিভোর্সে এগিয়ে নারীরা : ৮ ডিসেম্বর চসিকের সালিশি পরিষদে ২৫টি ডিভোর্স আবেদন শুনানির জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। ২৫টি ডিভোর্স আবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২৫টির মধ্যে ১৫টিতেই স্ত্রী ডিভোর্স দিয়েছেন স্বামীকে। অন্য ১০টি ডিভোর্স স্বামী দিয়েছেন স্ত্রীকে। স্বামীর তুলনায় স্ত্রীরাই অধিক হারে ডিভোর্স দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাপ্ত মোট ডিভোর্স আবেদনের বেশির ভাগই নারীদের।
বিএসডি /আইপি