নিজস্ব প্রতিবেদক,
ট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের (এইউডব্লিউ) ১৬০ শিক্ষার্থী আফগানিস্তানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর তারা আটকে পড়েন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ আগস্ট) বেলা দুইটা থেকে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে কাবুলে আটকে পড়া বাংলাদেশের ১৫ নাগরিকের সঙ্গে ওই ১৬০ শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। ফ্লাইটটি ঢাকা শাহজালাল (র) আন্তর্জআতক বিমান বন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা সরাসরি চট্টগ্রামস্থ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে যাবেন।
চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে ঢাকায় বিশেষ ফ্লাইট অবতরণ করবে এমনটি আমি জানি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রামে কিভাবে আসবে সেটি জানানো হয়নি। বিশেষ ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে আসবে না। চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের ১৬০ আফগান শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগেও তাদের ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারে।
জানা যায়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানে ১৬০ জনের বেশি আফগান শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে। গত বছর দেশে করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরে যায়। বেশ কিছুদিন ধরে তারা পুনরায় নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর এই আফগান শিক্ষার্থীরা নিজ দেশে আটকা পড়ে।
কাবুলের পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী একটি বিশেষ বিমানে কাবুল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন।
চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের এক কর্মকর্তা জানান, এ বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন ১৬০ ছাত্রী। তবে জুলাই মাসে তারা বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার লক্ষ্যে কাবুলে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। তবে আফগানিস্তান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ থেকে দেড়শ আফগান ছাত্রীর জন্য বাংলাদেশের ভিসার ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস সমদূরবর্তী মিশন হিসেবে আফগানিস্তানে কাজ করে থাকে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসের তত্ত্বাবধানে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দপ্তর এবং চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান আটকে পড়াদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেন।
বিএসডি/এএ