নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় মামলার প্রতিবাদে টানা দু-দিন সমাবেশ করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল থেকে সমাবেশ শুরু করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার বিনা বাধায় সমাবেশ হলেও আজ সনাতন জাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদ সমাবেশে আসার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে বাধা ভেঙে সমাবেশে যোগ দেন সনাতনীরা।
সমাবেশ থেকে স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে সমবেত হয়েছি। কিন্তু নগরের জামালখান, আসকারদীঘির পাড়, নন্দনকানন ও আন্দরকিল্লা এলাকায় লোকজনকে সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘প্রশাসনিক নির্দেশনা ছিল আজ চেরাগীতে সভা সমাবেশ হবে না। তবে পরে বাধা ঠেলে লোকজন চলে আসে।’
বুধবার (৩০ অক্টোবর) নগরের কোতোয়ালি থানায় সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। দুই মাস ধরে সনাতন জাগরণ মঞ্চ আট দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এর অংশ হিসেবে ২৫ অক্টোবর লালদীঘি মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশ থেকে যাওয়ার সময় নিউমার্কেট এলাকায় জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে মামলাটি করেন নগরের মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ খান।
মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ। এতে ৬৪ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে রোববার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সমাবেশ হয় চেরাগী মোড়ে।