করোনার মধ্যেই গত বছরের শেষ দিকে ঢাকার অদূরে পুবাইলে জোয়ার ভাটার শুটিং করেন সুমন আনোয়ার। করোনার মধ্যে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে রীতিমতো যোদ্ধা মনে হচ্ছিল, জানালেন সুমন আনোয়ার।
বললেন, ‘সারাক্ষণ মুখে মাস্ক পরে থাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুটিং করাটা সত্যিই লুকিয়ে লুকিয়ে যোদ্ধার মতোই কাজ করা। শুটিংয়ের মধ্যেই সবার মধ্যে একটা চিন্তা, জীবাণু সংক্রমণ করছি না তো। শুটিং শেষে বাড়িতে ফিরলে পরিবারের কেউ সংক্রমিত হবে কি না, এটাও একটা টেনশন। সেই সাবধানতা মেনে পারফরমারকে আবার দৃশ্যের প্রয়োজনে মাটিতে ঘুমাতে হচ্ছে, নৌকা চালাতে হচ্ছে। টানা দুই দিনের শুটিংয়ে মেকআপ তোলার সুযোগ ছিল না। একবারের মেকআপে পুরো শুটিং শেষ করতে হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পুরো ব্যাপারটা এক্সিকিউট করা তো যুদ্ধের মতো।’
সম্পাদনা ও নানা ধাপ পেরিয়ে ছবিটি আজ দর্শকের কাছে পৌঁছাবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় যখন সুমন আনোয়ারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, একটি সিনেমার শুটিংয়ে তখন তিনি রংপুর। জানালেন, জোয়ার ভাটা মুক্তির খবরটি আনন্দের। এই সিনেমায় দুজন অভিনয়শিল্পী। তাঁরা দুজন ভীষণ কষ্ট করেছেন বলেও জানালেন পরিচালক। তিনি বললেন, ‘টানা দুই দিন শুটিং করেছি।
৪৮ ঘণ্টায় অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা মাত্র এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছে। জোয়ার ভাটায় অভিনয় করেছেন ফারহানা হামিদ আত্তি ও শ্যামল মাওলা।’
ফিলোসফিক্যাল ট্রিলজির প্রথম পর্ব সদরঘাটের টাইগারও এই দুজনকে নিয়েই বানিয়েছেন এই পরিচালক। এর আগে তিনি নুসরাত ইমরোজ তিশাকে নিয়ে রাতারগুল, কালারগুল ও গুলবাহার নামে আরেকটি ট্রিলজি বানিয়েছিলেন। জোয়ার ভাটায় দুটি গান রয়েছে, গেয়েছেন সুমেল চৌধুরী। আবহ সংগীত করেছেন সন্ধি।
বিএসডি/আরএ