নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ নুরাবাদ ও আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক ও সদস্য নিয়োগে ব্যর্থতা এবং অবৈধভাবে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দিয়ে প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত ওই দুই ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পরিচালিত প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০২৪ সালে সংশোধিত) এর ধারা ১৮(১), (২) ও (৩) অনুযায়ী অবিলম্বে প্রশাসক ও সদস্য নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত রোববার (২৭ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং অ্যাডভোকেট আল মানিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির ও মো. ঈসা।
রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নুরাবাদ ও আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর এবং নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের গেজেট প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী, দুই ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (সংশোধিত ২০২৪) এর ধারা ১৮ অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে বাধ্য। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ না দিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জারি করা অফিস আদেশ (নম্বর: ০৫.১০.০১০০.০০৪.০২.০৯৩.২৪.৩৯১) এর ভিত্তিতে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে আইন পরিপন্থী।
এই প্রেক্ষাপটে চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ও আহাম্মদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জাহিদ, মো. মানিক ও রাজিব জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।