কৃষি ডেস্ক,
পেঁপে একটি সুস্বাদু ফল সেইসাথে সবজি হিসেবেও অনেক জনপ্রিয়। পারিবারিক চাহিদার জন্য এক সময় গ্রাম অঞ্চলে বসতবাড়ি ও বাড়ির আঙ্গিনায় প্রচুর দেশীয় জাতের পেঁপে চাষ দেখা যেতো। বাজারে পাকা পেঁপের চাহিদার পাশাপাশি সবজি হিসেবে কাঁচা পেঁপের চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে পেঁপের বানিজ্যিক চাষাবাদ।
কম সময়ে অধিক ফলন বেশি মুনাফা খোঁজে কৃষকরা ঝুঁকছেন উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড প্রজাতির পেঁপে চাষের দিকে। আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষে খরচ ও ঝুঁকি কম থাকায় অনেকেই পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকেট কালেক্টর মো. শাহীন মিয়া চাকরির পাশাপাশি তার বসতবাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডলুছড়া গ্রামে ১৫০ শতাংশ জায়গায় হাইব্রিড প্রজাতির রেডলেডি পেঁপে চাষ করেছেন। সারিবদ্ধ প্রতিটি পেঁপে গাছে ছোট বড় শতাধিকের উপরে কাঁচা পেঁপে ঝুলে আছে।
তরুন পেঁপে চাষী উদ্যোক্তা মো. শাহীন মিয়া জানান বসতবাড়ির সংলগ্ন ১৫০ শতাংশ জায়গায় এপ্রিল মাসে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) প্রজাতির ৩০০ টি রেডলেডি পেঁপের চারা রোপণ করছেন । রোপণ থেকে পরিচর্যা পর্যন্ত সার, কীটনাশক সহ খরচ পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এ পযন্ত কাঁচা পেঁপে বিক্রি করেছেন ৫ হাজার টাকা। বাজারে করোনার প্রভাব না পড়লে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
অনেক শিক্ষিত বেকার ও কর্মহীন তরুণরা পেঁপে চাষী মো. শাহীন মিয়ার কাছ থেকে পেঁপে চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন। ডলুছড়া গ্রামের স্হানীয় কয়েকজন বলেন পেঁপে চাষী মো. শাহীন মিয়াকে সরকারী ভাবে পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা করলে পেঁপে চাষের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি পণ্য চাষাবাদ করতে পারবে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান আমি সরেজমিন পেঁপে বাগান পরিদর্শন করেছি বাগানের সব পেঁপে গাছ এক ধরনের নয়, সেখানে রেডলেডি ও শাহী প্রজাতি ছাড়াও দেশী জাতের পেঁপে গাছ রয়েছে। কিছু পেঁপে গাছ ইতিমধ্যে ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, পেঁপে চাষী মোঃ শাহীন মিয়াকে সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করি।
তবে আমরা (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) পেঁপে চাষীকে এখনো সব ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছি এবং আগামীতেও পেঁপে চাষাবাদ সম্পর্কে সব ধরনের কারিগরী সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
বিএসডি/এএ