অর্থনীতি ডেস্ক:
চামড়া শিল্পের উন্নয়ন ও এ খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলি সমাধানের লক্ষ্যে চামড়া শিল্প কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করেছে টাস্কফোর্স কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের ৪র্থ সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।
সভায় গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সাভারের চামড়া শিল্পনগরী বন্ধের সুপারিশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়া একটি বৃহৎ শিল্পখাত। চামড়া রপ্তানির জন্য বিদেশে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এজন্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, ট্যানারি কারখানাগুলো হাজারীবাগ থেকে সাভারে নির্মাণ অসম্পন্ন চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করা হলেও কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) এবং অন্যান্য উপাদানের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ অবস্থায় কয়েকটি ট্যানারির অনুকূলে পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হলেও এখন পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়নে সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে। আর পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়ন প্রাপ্তি বিলম্বিত হওয়ায় রপ্তানিকারক হিসেবে এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ইআরসি, আমদানিকারক হিসেবে ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা আইআরসি ও শুল্কমুক্তভাবে পণ্য আমদানির বন্ড সুবিধার ছাড়পত্র পেতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা ট্যানারি শিল্পনগরী বন্ধ করার পক্ষে নই। আমাদের কাঁচামাল, জনশক্তি ও অভিজ্ঞতা আছে। কাজেই শিল্পনগরীর চামড়া কারখানাগুলোর সুষ্ঠু উৎপাদন কার্যক্রমের স্বার্থে পরিবেশগত ছাড়পত্রের নবায়ন ত্বরান্বিতকরণ, সিইটিপি, কার্যকর করা, আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করার পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বলেন, আমরা চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বিলিয়ন ডলার আয় করতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
পরিবেশমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, সাভারে ২৫ হাজার ঘনমিটার তরলবর্জ্য শোধনের ক্ষমতা থাকলেও উৎপাদন হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার ঘনমিটার তরল বর্জ্য। এতে নদীর পানি দূষণ হচ্ছে। আমাদের যৌথভাবে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করতে হবে।
সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, কোরবানির ঈদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চামড়ার যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা সেই মূল্য কেন পাননি। যার জন্য তারা মাথায় হাত দিয়ে বসে গেছেন। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল। ।
তিনি বলেন, চামড়ার মূল্য এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজার ধরার জন্য দুই মন্ত্রণালয়ের টানাটানি না করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্ত থাকা প্রয়োজন।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা কেন্দ্রীয়ভাবে চামড়া মজুদ ও সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বারোপ করেন।
বিএসডি/আইপি