বর্তমান সময় ডেস্ক:
রোজ রোজ একই খাবার খেতে কেউ পছন্দ করে না । আর যদি করতে হয় ডায়েট, তাহলে তো খাবারে বৈচিত্র আরো বেশি কমে আসে। সেজন্য সপ্তাহে বা দুই সপ্তাহে একদিন ডায়েটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজের পছন্দমতো দু-একটি খাবার খাওয়াই যায়। সেই খাবারকেই বলা হয় চিট মিল। কিন্তু সেখানেও থাকা দরকার ভারসাম্য। তা না হলে বাড়তি খাবার খেয়ে ফেলা ও বারবার চিট মিল গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে? আবার ডায়েট ভাঙার পরে যে অপরাধবোধ গ্রাস করবে তা থেকেও তো নিজেকে বাঁচাতে হবে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ তৃষা আগারওয়ালের বাতলানো পাঁচটি সহজ পদ্ধতি জেনে নিন। যেগুলো চিট মিলে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করবে আবার বাঁচাবে অপরাধবোধে আক্রান্ত হওয়া থেকেও।
চিট মিল খাওয়ার পর ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে খাবার খাওয়ার নেশা থেকে আপনি বের হতে পারবেন ও শৃঙ্খলায় ফিরতে পারবেন।
চিট মিল খাওয়ার পরের দিন খাবারের তালিকায় বেশি বেশি প্রোটিন ও শাকসবজি রাখুন। এতে করে আপনার শরীরে ইনসুলিন অকেজো হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
চিট মিল খাওয়ার পরও শরীরে ভারসাম্য আনার জন্য এর পরের দিন কম ক্যালরিযুক্ত ও বেশি আঁশযুক্ত খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। আঁশযুক্ত খাবার খেয়ে মনে হবে আপনার পেট ভরে গেছে, যেটা আপনার সেই সময়ে খুব দরকার।
চিট মিলের পরের দিন রুটিনে ফেরার মানে হলো কোনোভাবেই ব্যায়াম বাদ না দেয়া। জিম না করলেও এদিন ১ ঘণ্টা কিন্তু হাঁটতেই হবে।
স্বাভাবিকভাবেই চিট মিলে অনেক উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম ও চিনি থাকে। সেসব শরীর থেকে বের করে দেয়া জরুরি। সেজন্য পরের দিনে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান কিন্তু বাধ্যতামূলক।
মাত্র এই পাঁচটি ধাপ অবলম্বন করলে ‘ডায়েট ভেঙে ফেললাম, এখন কী হবে?’ এমন ভাবনা আর গ্রাস করতে পারবে না আপনাকে। মন স্বস্তিতে থাকলে তবেই না শরীর ভালো থাকবে।