ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার কাঁকনহাটি মহল্লায়। শহরের চরহোসেনপুর এলাকার সুলেমন ভূঁইয়া (এসবি) মার্কেটে তাঁর ‘আপন জুয়েলার্স’ নামে একটি জুয়েলারির দোকান আছে। তিনি নিজেও একজন অলংকার তৈরির কারিগর ছিলেন।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মুঠোফোন বন্ধ রেখে ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়া এলাকার হোটেল হিলটনে অবস্থান করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল শনিবার মধ্যরাতের পর তাঁর ফেসবুক ঠিকানা সচল হয়। ওই সময় তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর জন্য দায়ী কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন। তাঁদের মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুর রহমানের নাম আছে। হোটেলকক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটেও তাঁদের নাম আছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী জায়েদা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এক স্বজন ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি (জায়েদা) এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। জাহাঙ্গীরের ভাই আঙ্গুর মিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরে তাঁর ভাই মনমরা অবস্থায় থাকতেন।
সাইফুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি ভিডিও তাঁর নজরে এলে গতকাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের মিয়া মুঠোফোনে কাউন্সিলরের জিডি করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিএসডি/ এফএস