চীনের হুমকি থেকে নিজেদের ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব’ রক্ষায় নিজেদের উদ্যোগ ও প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম সাবমেরিন বানিয়েছে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কাওসিউংয়ে সাবমেরিনটি উদ্বোধন করেছেন স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ডের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হন সাই ইং-ওয়েন। ওই বছরই দ্বীপ ভূখণ্ডটির সামরিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নিজস্ব প্রযুক্তি ও অর্থায়নে ৮টি সাবমেরিন তৈরির ঘোষণা দেন তিন।
সেই আট সাবমেরিনের প্রথমটির উদ্বোধন হলো বৃহস্পতিবার। নিজেদের তৈরি প্রথম সাবমেরিনের নাম ‘নারহোল’ রেখেছে তাইওয়ান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাইওয়ান তার নিজস্ব প্রযুক্তি, অর্থ ও জনবল দিয়ে সাবমেরিন তৈরি করবে— একসময় এটা অসম্ভব ছিল। আজ আমাদের চোখের সামনে আমাদের তৈরি সাবমেরিন।’
‘যত ঝুঁকি থাকুক, বাধা-বিপত্তি আসুক আমরা তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা খাতকে কে শক্তিশালী এবং সমরাস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলব।’
এখন থেকে দু’বছর পর, ২০২৫ সাল থেকে নারহোল সেনাবাহিনীর নিয়মিত সার্ভিসে যুক্ত হবে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন সাই ইং-ওয়েন।
বর্তমানে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২টি সাবমেরিন রয়েছে। গত শতকের আশির দশকে এই দু’টি সাবমেরিন নেদারল্যান্ডস থেকে কিনেছিল তাইওয়ান। নারহোল সার্ভিসে যুক্ত হবে এই সংখ্যা হবে ৩।
এদিকে, তাইওয়ানের এই সাবমেরিন তৈরির ঘটনায় ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করেছে চীন। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ওউ কিয়ান বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তাইওয়ান নিজেকে বিরাট শক্তি মনে করছে এবং দিবাসপ্ন দেখছে।’
‘আর এই সাবমেরিন তৈরি করে যদি তাইওয়ান ভাবে যে তারা পিপলস রিপাবলিক আর্মিকে (চীনের সেনাবাহিনী) প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পারবে, সেক্ষেত্রে আমরা বলব— তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।’
সূত্র : রয়টার্স
বিএসডি/এমএম