আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে ছুরি হামলা চালিয়ে অন্তত ৭ জনকে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। নিহতদের মধ্যে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির একজন গ্রাম প্রধানও আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই সাতজনকে হত্যার পর একটি সেতু থেকে লাফিয়ে পড়েন হামলাকারী।
মঙ্গলবার চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে দেওয়া এক বিবৃতিতে উহান পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর ডাকনাম গাও। রোববার উহানের এক পরিবারের দুই শিশুসহ পাঁচজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পালিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় একজন পথচারী ও একজন ক্যাব চালককে মারাত্মকভাবে জখম করেন হামলাকারী। পরে একটি সেতু থেকে ইয়াংসি নদীতে লাফিয়ে পড়েন তিনি। তবে নদীতে লাফিয়ে পড়া হামলাকারী বেঁচে আছেন কি-না তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম চায়না ডট ওআরজি বলছে, জিয়াওসি শহরের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান, তার স্ত্রী, পুত্রবধূ এবং দুই নাতি-নাতনিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে এক শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় এখনও তদন্ত করছে।
চীনে বেসামরিক নাগরিকদের বন্দুক বহনের অনুমতি নেই এবং সাম্প্রতিক দশকে দেশটিতে ছুরি ব্যবহার করে অনেক সহিংস অপরাধ ঘটাতে দেখা গেছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গানসু প্রদেশের একটি গ্রামের আটজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন দেশটির এক নাগরিক। ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে ছুরি চালিয়ে গ্রামবাসীদের হত্যা করেন। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে উত্তর চীনের শানসি প্রদেশের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছুরি হামলা চালিয়ে অন্তত ৯ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেন এক ব্যক্তি।
সূত্র: এএফপি।