নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দাফতরিক মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক চক্র।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার কোটালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হক মিন্টুর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ইউএনও শামীম ভূইয়া।
সভাপতির সঙ্গে আলোচনা না করে আমি টাকা দিতে পারব না জানালে তিনি বলেন, ‘সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে জানান।’ বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে জানালে সভাপতি টাকা দিতে বলেন। তখন ওই ব্যক্তিকে ফোন দিলে তিনি ০১৮৫৩ ৫৭১২৯১ নম্বরটি দিয়ে বলেন, এটা ডিসি অফিসের অফিসিয়াল নগদ (পারসোনাল) নম্বর। পরে পার্শ্ববর্তী হরিশপুর গ্রামের বাজারে গিয়ে এই নম্বরে ৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
পরে ওই ব্যক্তি আবারও ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার বিদ্যালয়ে সব শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে কি না। তখন বিষয়টি আমার সন্দেহ হয়। পরে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা জানান, কোটালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ল্যাপটপ বাবদ ৯ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানান। পরে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে নিশ্চিত হন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই। তখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ওই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলি। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।