জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
এক দিন পর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। ফিফা-এএফসি’র নিয়মানুযায়ী ম্যাচ পরিচালনা করেন নিরপেক্ষ দেশের রেফারি। ফলে সাফ অ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাংলাদেশের দুই রেফারি দুই রেফারি জয়া চাকমা ও সালমা আক্তার বিদায় নিতে হয়েছে।
সাফে জয়া দুই ম্যাচে মূল রেফারি ও দুই ম্যাচে চতুর্থ রেফারি ছিলেন। সালমা চারটি ম্যাচে সহকারি রেফারি ছিলেন। এই টুর্নামেন্টে রেফারি এসেসর হিসেবে থাকা সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাংলাদেশের দুই নারী রেফারির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ, ‘তারা দুই জনই চারটি ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করেছে। বিশেষ করে গতকাল ভারত ও নেপাল ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জয়া ও সালমা উভয়ই দারুণভাবে ম্যাচটি পরিচালনা করেছে।’
এই রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচের মধ্য দিয়ে জয়া-সালমার প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সাবেক এএফসি’র এলিট রেফারি, ‘জয়া আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছে অনেক। তবে এই রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ কম পেয়েছে। এ রকম ম্যাচ আরও বেশি পেলে তাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে অনেক সুবিধা হবে।’
বাফুফের রেফারিজ বিভাগের প্রধান আজাদ রহমান দুই নারী রেফারি নিয়ে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা তাদের এএফসি এলিট প্যানেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করব। এলিটে প্রবেশ করতে পারলে এএফসি’র অনেক ম্যাচ পাবে তারা।’
এএফসি এলিটে প্রবেশের আগে ঘরোয়া পর্যায়ে তাদের আরো ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ করে দিতে চান সাবেক এই ফিফা রেফারি, ‘মহিলা লিগের পাশাপাশি তাদেরকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ও প্রিমিয়ার লিগেও সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে আগে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর ) তাদেরকে নিয়মিত ম্যাচ করতে চাই, এরপর প্রিমিয়ারে।’
সালমা আক্তার গত মৌসুমে কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে একটি ম্যাচে সহকারি রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জয়া অবশ্য প্রিমিয়ার লিগে রেফারি হিসেবে এখনো বাঁশি বাজাননি।
করোনায় এক সময় থমকে ছিল বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। ধীরে ধীরে ঘরোয়া ও বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন সচল হলেও সাফ অঞ্চলে নারী প্রতিযোগিতা স্থগিত ছিল অনেক দিন। ফলে দুই নারী রেফারি জয়া চাকমা ও সালমা আক্তারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ সেভাবে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাননি। সাফ অ-১৯ দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরলেন তারা। জয়া ভারতে শারীরিক শিক্ষার উপর উচ্চতর পড়াশোনা করছেন। টুর্নামেন্টের জন্য এসেছিলেন।
বিএসডি/এসএফ