জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রীদের কমনরুমে ওয়াশরুমের বেসিনের কল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলে (আইকিউএসি) কাচের দরজা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্বপালন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে ছাত্রীদের কমনরুমে ওয়াশরুমের বেসিনের কল চুরি হয়। ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। আইকিউএসি সেলের কাচের দরজা ভেঙ্গে তছনছ করা হয় বিভিন্ন নথিপত্র। এঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্ব পালন নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলায় ছাত্রী কমনরুমের ওয়াশরুমের গ্রিল কাটা। ওয়াশরুমের সব কয়টি বেসিনের কল চুরি হয়ে গেছে। ওয়াশরুমে আইকিউএসি দপ্তরের কিছু কাগজপত্র পাওয়া যায়। এই সেলের সামনের করিডরে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার একটি ভেঙে খুলে ফেলা হয়, আরেকটি অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখা হয়। কর্মচারীরা ভাঙা সিসিটিভি ক্যামেরাটি না পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষী সংকটের কারণে বেশ কিছু নিরাপত্তা রক্ষী বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভাগে কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে বেলামিন(অর্থ দপ্তর), আবদুর রাজ্জাক ( কন্ট্রোল অফিস), বারেক হাওলাদার সেলিম (বাংলা বিভাগ), মো.সোহেল ( প্লানিং এন্ড ডেভোল্পমেনট অফিস), মো. নরুল ইসলাম (মসজিদ) কর্মরত আছেন। বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীদের তথ্য চুরির মামলার বাদী সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা শাখা) সাইদুর রহমান রনি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘আমাদের এমনিতেই লোকবল কম, এর মধ্যে আমাদের কিছু লোক বিভিন্ন দপ্তরে ও বিভাগে কাজ করছে, যার কারণে একটি গেটের দায়িত্বে কাগজে-কলমে দুইজন থাকলেও গেইটে থাকে একজন। এ কারণে ডিউটিরত অবস্থায় আমরা ওয়াশরুমে, নামাজে গেলে ওই সময় গেইট ফাঁকা হয়ে যায়, এই সুযোগে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে।
যারা বিভিন্ন দপ্তরে ও বিভাগে কাজ করছে তারাও যদি আমাদের সাথে যোগ দিত তাহলে আমাদের পাহারা দিতে সুবিধা হত। একজন যদি কোন প্রয়োজনে কোথাও যায় অন্যজন পাহারা দিতে পারতো। ‘
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গুচ্ছের পরীক্ষা থাকার কারণে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সবাইকে বের করে দেয়া হয়। এরপর এই ঘটনাটি ঘটেছে।
চুরির ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সভা করেন’।
উল্লেখ্য ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত টি-শার্ট উদ্ধার করা হয়। তদন্ত চলা পর্যন্ত দপ্তরের জিনিসপত্রে হাত না দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে কাঁচের দরজাটি মেরামতের অনুমতি দেয়া হয়।
বিএসডি/ এমআর