নিজস্ব প্রতিবেদক
তরুণ জলবায়ু কর্মী এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ। এই সংলাপের মাধ্যমে জলবায়ু কর্মীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের কপ-২৯ পরবর্তী ভাবনাগুলো আলোচনা করেন।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপটির উদ্বোধন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এর অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন, কমিউনিকেশন্স এবং মিডিয়া বিভাগের পরিচালক জিনাত আরা আফরোজ।
তিনি বলেন, আপনারা তরুণ জলবায়ু কর্মীরা সবাই কমিউনিটি থেকে এসেছেন আপনারা সব থেকে ভালো বোঝেন কমিউনিটির চাহিদা সম্পর্কে যে কারনে বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানে আপনারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ‘জেনারেশন হোপ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আপনাদের নেতৃত্বে, আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানের এই লড়াইয়ে। শিশু ও তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে আমরা একসাথে কাজ করতে চাই। এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাদের অনুরোধ করতে চাই তরুণ জলবায়ু কর্মীদের কন্ঠস্বর বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
এই সংলাপে আরও অংশগ্রহণ করেন সেভ দ্য চিলড্রেন-এর হিউম্যানিটারিয়ান সেক্টরের পরিচালক মো. মোস্তাক হোসেন। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে যখন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের প্রচেষ্টা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। সেভ দ্য চিলড্রেনে আমরা প্রাথমিক পদক্ষেপের মাধ্যমে দেখেছি যে প্রাথমিক বার্তাগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে উপযোগী করে তৈরি করা প্রয়োজন। এই প্রচারণায় তরুণ কর্মীরা অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি আমাদের দেখিয়েছে যে তাদের মধ্যে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তরুণ জলবায়ু কর্মীদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই।
ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমানের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কপ ২৯-এ অংশগ্রহণকারী জলবায়ু কর্মীদের অভিজ্ঞতা এবং সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এই প্যানেলে আরও অংশগ্রহণ করেন জিমরান মোহাম্মদ সাইক, ফারিয়া হোসেন, এম এ তামিম, কিংবদন্তি সাবির। অ্যাকটিভিস্টরা ফোরামে তাদের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশসহ অনুরূপ দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়ন বাড়ানো ও নির্দেশিত করার প্রধান দাবিগুলো তুলে ধরেন।
সোহানুর বলেন, আমরা আগের জলবায়ু সম্মেলনে- জলবায়ু অর্থায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম, এবং প্রাথমিক বিনিয়োগ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হয়, যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো কপ ২৯ -এ জেন্ডার অ্যাকশন প্রোগ্রাম শুরু করা হয়। বাংলাদেশে জলবায়ু অবকাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। যদিও যুব ও শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেশি ঝুঁকির মুখে, তবুও তাদের মধ্যে বিশ্ব নেতাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্বশীল ও জবাবদিহি করতে বাধ্য করার ক্ষমতা রয়েছে, যাতে জলবায়ু সহনশীলতাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে নিশ্চিত করা যায়।