নিজস্ব প্রতিবেদক,
জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলা করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পুকুর-জলাশয়, বিল, মাছের অভয়াশ্রমসহ মৎস্যবান্ধব ফিশিং নেট সরবরাহের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বাড়ানো হবে।
এ জন্য ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (ডিওএফ পার্ট) (সিএসএডব্লিউএমপি-ডিওএফ)’ শীর্ষক প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ঋণ থেকে ৮৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে ক্লাইমেট স্মার্ট মৎস্যচাষ প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, ব্যবসাবান্ধব সাপ্লাই চেইন এবং বাজার নেটওয়ার্ক প্রসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধিও পাশাপাশি স্টেকহোল্ডারদের জীবিকায়নের মানোন্নয়নসহ টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পটি আটটি বিভাগের ১৮টি জেলার ২৯টি উপজেলা বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে; ১৪৫টি বিল নার্সারি স্থাপন, ৪৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন, ১৯৪টি পুকুর/জলাশয় পুনঃখনন, ১৪৫টি মৎস্যবান্ধব ফিশিং নেট সরবরাহ, ১ হাজার ৯৫০টি বিভিন্ন ধরনের মৎস্য চাষ প্রযুক্তির প্রদর্শনী খামার স্থাপন, ২৯টি শুঁটকি প্রদর্শনী স্থাপন, সাপ্লাই চেইন উন্নয়নের জন্য বরফ সুবিধাসহ ৫৮টি ইনসুলেটেড ভ্যান সরবরাহ, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের ভ্যালু চেইন উন্নয়নের জন্য ১৪টি মিনি প্রসেসিং ইউনিট নির্মাণ ও ফিশ প্রসেসিং যন্ত্রপাতি সরবরাহ, ৬০০ জন দরিদ্র মৎস্য চাষিকে বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান এবং প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা/সেমিনার আয়োজন করা হবে।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অষ্টম পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় বিদ্যমান জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন ও ভ্যালু অ্যাডেড প্রডাক্ট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এইসব বিবেচনায় অষ্টম পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে প্রকল্পটি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটি ক্লাইমেট স্মার্ট মৎস্যচাষ প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে মৎস্য ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ব্যবসাবান্ধব সাপ্লাই চেইন এবং বাজার নেটওয়ার্ক প্রসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং স্টেকহোল্ডারদের জীবিকায়নের মানোন্নয়নসহ টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিএসডি/আইপি