নিজস্ব প্রতিবেদক:
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জলবায়ু সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসে ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকোর সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শুক্রবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা, উচ্চ তাপমাত্রাসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক সফলতাও এসেছে। কিন্তু এসব জাত উদ্ভাবনে অনেক সময় লেগে যায়। এটিকে আমরা কমিয়ে আনতে চাই। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা প্রয়োজন।
কৃষি, খাদ্য ও লাইফ সায়েন্সের গবেষণা এবং শিক্ষায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্টের কাছে কৃষিমন্ত্রী লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) উপস্থাপন করেন।
কৃষি গবেষণা বিশেষ করে দ্রুত জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবন, পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে এবং বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীদের প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী ।
প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকো এসব বিষয়ে সহযোগিতায় বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করার প্রতি জোর দেন।
একই দিন সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক ভাখেনিঙেন শহরের মেয়র ফ্লুর ভার্মিউলেনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী ‘দ্য আনফিনিশড মেমোরিস’ বই উপহার দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউভেন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, এসিআই অ্যাগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম এবং জেমকন গ্রুপের ডিরেক্টর কাজী ইনাম আহমেদ প্রমুখ।