নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জায়েদ খানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচনের আপিল বোর্ড। একই সঙ্গে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এ সময় জায়েদ খানের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্য চুন্নুর পদ বাতিল করে আপিল বোর্ড।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান।
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল নিয়ে সোহানুর রহমান সোহান জানান, নির্বাচনী বিধি অমান্যের অভিযোগে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
সোহানুর রহমান সোহান বলেন, দুজন ভোটার লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে সাধারণ পদপ্রার্থী জায়েদ খান এবং সদস্য পদপ্রার্থী চুন্নু ভোট দেওয়ার জন্য তাদের নগদ অর্থ প্রদান করেছেন।
এছাড়া আরও কয়েকজন প্রার্থী মৌখিকভাবে তাদের অর্থ প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এবং ভিডিও ফুটেজে প্রতীয়মান হয়েছে যে এই অর্থ প্রদানের বিষয়টি সত্য।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২০২২-২০২৪ এর প্রণীত তফসিলের ১০ নম্বর ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে পারবে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার পীরজানা হারুণের বিষয়ে সোহানুর রহমান সোহান বলেন, নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্য মৌখিক বক্তব্যে জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন প্রার্থী ও ভোটারদের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পীরজাদা শহীদুল হারুন বিষয়টি আমলে না নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি আমলে না নিয়ে এবং উপেক্ষা করে পীরজাদা শহীদুল হারুণ দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন এবং তার পক্ষপাত দুষ্টুতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রার্থীরা আপিল বোর্ডে অভিযোগ করেন। আমরা বিষয়টি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে দিকনির্দেশনা চেয়ে আপিল বোর্ড চিঠি দেয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় জায়েদ খান ও চুন্নুর সদস্য পদ বাতিল করা হয় বলে জানান সোহানুর রহমান সোহান।