ক্রীড়া ডেস্ক,
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেনি কিউইরা। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে খেই হারায় টাইগাররা। ওই দিন নিউজিল্যান্ডের দুই বাঁ-হাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল ও রাচিন রবীন্দ্রর ঘূর্ণিতে হোঁচট খায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলে তৃতীয় ম্যাচ ৫২ রানে হেরে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বিকাল ৪টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। তবে এ ম্যাচটি দুদলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কি হবে চতুর্থ ম্যাচে এমন ভাবনায় ডুবে আছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচিয়ে রেখেছে কিউইরা। বুধবার জিতলে সমতায় ফিরবে সফরকারীরা। এমন অবস্থায় চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ সিরিজ জিতবে নাকি অপেক্ষা বাড়বে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। তবে যাই হোক বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে কিউইরা। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের উইকেট সম্পর্কেও তিন ম্যাচ খেলে বিস্তর অভিজ্ঞতা হয়েছে টম লাথাম বাহিনীর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেরা খেলাটা বের হয়ে আসছে। যা টাইগারদের জন্য হুমকি হতে পারে। কিন্তু আহত বাঘের হুঙ্কারে মিশে থাকে প্রতিশোধের নেশা তা জানে কিউইরা। ঘরের মাঠে তৃতীয় ম্যাচ হেরে হুঙ্কার দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে টাইগাররা সেটি মাথায় রেখেই প্রস্তুত হচ্ছে কিউইরা। এমনকি তাদের কোচ গ্লে পকন্যাল জানিয়ে দিয়েছেন, লড়াইয়ে তারা পিছপা হবেন না একটুও।
গত মাসে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের শুরুটাও দুর্দান্ত করে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। দ্বিতীয় ম্যাচে জমে ওঠে লড়াই। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জিতে নেয় সেই ম্যাচও। তবে নিউজিল্যান্ড লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। তৃতীয় ম্যাচে কিউইরা দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিং করে টাইগারদের বিধ্বস্ত করে জিইয়ে রাখে সিরিজের উত্তেজনা। ওই দিন ৭৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ কতটা মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে, এটা না বোঝার কারণ দেখছেন না নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্লে পকন্যাল।
টাইগারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশের মাঠে শুধু আমাদের বিপক্ষে নয়, সব দলের বিপক্ষেই তাদের রেকর্ড দুর্দান্ত। এভাবে হারার পর তাই তাদের রক্তক্ষরণ হওয়ার কথা। তারা শক্তভাবেই ফিরে আসতে চাইবে। তাদের পাল্টা আক্রমণের জন্য আমরা অবশ্যই প্রস্তুত। আগুনের জবাবে আমরা আগুন দিয়েই লড়ব। আমরা লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে আছি। তৃতীয় ম্যাচের জয় নিউজিল্যান্ডকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। চতুর্থ ম্যাচ জিতে আমরা সমতায় ফিরতে চাই। এটা দারুণ একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আমাদের সমানে। ২-২ ব্যবধানে সমতায় ফিরতে পারলে পরে শেষ ম্যাচ নিয়ে ভাবব। আমাদের খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। ওরা বাংলাদেশের কন্ডিশানের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।