নিজস্ব প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণার চার নম্বর পাঠক। তার আগে এম এ হান্নানসহ আওয়ামীলীগ নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনি জিয়াউর রহমানরা মিথ্যাচার করে ইতিহাসের বিকৃতি করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য যে জায়গা বাছাই করা হয়েছে, সেটা চমৎকার একটা জায়গা। এত সুন্দর স্থান দেখে আমি অভিভূত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকা স্বর্ণের খনিতে রূপান্তর হবে। এ অঞ্চলের গুরুত্ব বাড়বে, ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আন্তর্জাতিক মানের করে সংরক্ষণের কাজ চলছে। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের প্রথম রাজধানী মুজিবনগরকেও সংরক্ষণের জন্য কাজ চলছে। কিন্তু যেখান থেকে মানুষ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে পেয়েছিল, সেই চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের বিষয়ে আমারা এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করিনি। চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতিবিজড়িত স্থান রয়েছে, সেগুলো এখনও সংরক্ষণ হয়নি। আমরা সেগুলো সংরক্ষণে উদ্যোগ নেব।’
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামবাসীর ইচ্ছা, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আমরা যাতে পূর্ণ করতে পারি সেজন্য আপনারা দোয়া করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। যাতে এ দেশ আরও এগিয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব।
বিএসডি / আইকে