বিনোদন ডেস্ক:
মাদক মামলায় গ্রেফতার বলিউড তারকা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান জামিন পাননি। বুধবার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত জেলেই থাকবেন তিনি। বর্তমানে জেলে শাহরুখপুত্রের কাউন্সেলিং চলছে। তাকে নেশামুক্ত করে, ফের সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তারা।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন আরিয়ান। জেল থেকে বেরিয়ে কী করবেন, তাও জানিয়েছেন। একটি প্রতিজ্ঞাও করেছেন শাহরুখপুত্র।
মুম্বিই সেশন কোর্ট ১৫ অক্টোবর জামিন আবেদনের রায় দান স্থগিত রাখেন। এনসিবির হয়ে ওই দিন ডিশানাল সলিসিটর জেনারেল অনীল সিং। তিনি আদালতে জানান, কয়েক বছর ধরে প্রায় প্রত্যেকদিনই মাদক সেবন করতেন আরিয়ান খান। এমনকী মহাত্মা গান্ধীকে টেনে এনেও জামিন খারিজের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
বলেন, এটা মহাত্মা গান্ধীর দেশ। এই ধরনের স্বভাব দেশের যুবদের খারাপ পথে চালিত করবে।
আরিয়ানের পক্ষে অমিত দেশাই বলেন, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করে যে অভিযোগ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা তা ভ্রান্ত। কারণ, আজকাল এমন ভাষাতেই কথা বলে যুব সমাজ। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারক।
এরপরই জেলে আরিয়ানের কাউন্সেলিং শুরু হয়। সূত্রের খবর, সেখানে শাহরুখপুত্র নিজের ভুল কবুল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জেল থেকে বেরিয়ে, স্বাভাবিক জীবনে সমাজের দুঃস্থ মানুষদের জন্য কাজ করবেন তিনি। পিছিয়ে পড়া মানুষদের মূলস্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করবেন। এনসিবির মুম্বাই ইউনিটের ডিরেক্টর সমীর ওয়াঙ্কেদাকে আরিয়ান কথা দিয়েছেন, একদিন গর্ব করার মতো কাজ করবেন।
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছে এনসিবি। মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, মাদক নেওয়ার ক্ষেত্রে আরিয়ানের সঙ্গে বিদেশেরও কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ওইসব লোকজন আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত।