খেলাধূলা প্রতিনিধি:
যা সত্য সেটাই বলেছেন জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। আজ বাংলাদেশ দল নিয়ে প্রথম মিশনে মালদ্বীপ রওনা হচ্ছে তিনি। সেখানে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২৪ মার্চ ফিফা টায়ার ওয়ান প্রীতি ম্যাচ বাংলাদেশের। যাওয়ার আগে প্রস্তুতিটা কেমন হয়েছে তা নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করল বিমানবন্দর সড়ক ঘেঁষা একটি অভিজাত হোটেলে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দলের কোচ কাবরেরা বললেন,‘আড়াই দিনের প্রস্তুতি নিয়ে মালদ্বীপ যাচ্ছি। এটা নিয়ে কোনো টেনশনও করছি না। প্রশ্ন উঠছে টেনশনের যদি টেনশন নাই থাকে তাহলে আমি কিসের কোচ।’ খুব চটপট উত্তর দেন এই কোচ। তবে সবকিছু খুলেও বলতে চান না। সংবাদ মাধ্যমকে যতটুকু তথ্য দেওয়ার সেটা দিয়ে মুল পরিকল্পনা নিজের মধ্যে সঞ্চিত রাখেন। দুই ম্যাচ ঘিরে বাংলাদেশের পরিকল্পনা হলেও কাবরেরা জানিয়েছেন তিনি একটা একটা করে ম্যাচ এগিয়ে যেতে যান। মালদ্বীপ থেকে ফিরে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে সিলেটে, ২৯ মার্চ। মালদ্বীপের ম্যাচ শেষ হলে নতুন পরিকল্পনা করবেন বলে পরিস্কার জানিয়ে দিলেন তিনি। এরই মধ্যে মালদ্বীপ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে নিজের রণ কৌশল সাজাচ্ছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। জানালেন কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকতে চান না। প্রতিপক্ষ কেমন খেলে সেটা জেনে নিয়েছেন কোচ।
কোচ যে কথাই বলুন অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া রাকঢাক না করে জানিয়েছেন ফিফার দুটি প্রীতি ম্যাচ হতে পুরো ৬ পয়েন্ট তুলে নিতে চান। আরো পরিষ্কার বললে বলতে হয় দুই ম্যাচই জিততে চান জামাল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন দেশের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মালদ্বীপকে হারিয়ে ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছিল। এবার প্রীতি ম্যাচ মালেতে মুখোমুখি হবে বাংলার ফুটবলাররা। জামাল আত্মবিশ্বাসী। জামাল বললেন,‘গত ম্যাচ যখন আমরা জিতেছিলাম তখন মালদ্বীপের আলী আশফাকও খেলেছিলেন। যিনি শেষ ১০ বছর ধরে মালদ্বীপ ফুটবলের সবচেয়ে তারকা। তার উপস্থিতিতে যদি ম্যাচ জিততে পারি তাহলে এবার খেললেও আমরা পারব। আলী আশফাককে নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন মনে করছি না। আমরা পুরো দল নিয়ে ফোকাস করছি।’
কোচ কি চান সেই প্রশ্নে জামাল বললেন, ‘কোচ অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। খেলা দেখেছেন মাঠ ঘুরে ঘুরে। দুই দিন দিনের অনুশীলনে এসে উনি আমাদের কাছে একটা ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিয়েছেন উনি কিভাবে মাঠে খেলাতে চান। আমরাও সেটা বুঝতে পারছি। এখন মাঠেই প্রমাণ করতে হবে।’
মালদ্বীপে বাংলাদেশের দুই লাখ মানুষ বসবাস করছেন। মালেতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে জামাল দেখেছিলেন প্রবাসী বাঙ্গালীরা মাঠে আসার সুযোগটা কমই পান। এবার যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পান তারা , এজন্য জামাল বাফুফের সহযোগিতা চাইলেন। বাফুফে যেন মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলে।
বিএসডি/ এমআর