নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহে নৌকা ও সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মোটর সাইকেল ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। প্রতিপক্ষের মারপিটে মাহমুদুল হক পলাশ নামের মেম্বর প্রার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশের এক কর্মকর্তা। মৃত পলাশ টিকারী গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।
বিষয়টি এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
জানা গেছে, বুধবার রাতে আনারস প্রতিকের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী আবু সাঈদ শিকদার নির্বাচনী প্রচারণায় যায়। ওই সময় লক্ষীপুর গ্রামের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে পাল্টা রাতেই টিকারী বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর শহিদুল ইসলাম শিকদারের নির্বাচনী কার্যালয় ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মাহমুদুল হক পলাশকে মারধর করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আহত পলাশ নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। খবর পেয়ে নাড়িকেলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পে এসআই তৌহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আহতের ঘটনায় নৌকা সমর্থকের দুজনকে আটক করা হয়েছে। আরো আটকের জন্য পুলিশে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এনির্বাচনে পুরুষ ভোটার ১লাখ ২৭ হাজার ৬৮৮জন ও নারী ভোটার ১লাখ ২৫হাজার ৮১২জনসহ মোট ২লাখ ৫৩হাজার ৫০০জন ভোটার তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।
বিএসডি/জেজে