লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
তিস্তার আকস্মিক বন্যা পর শীতের মুখ অনেকটাই লুকিয়ে ছিল। তখন এ বছরের মানুষ মনে করেছিল যে এবারের শীত নেমে যাবে। কিন্তু আসি আসি করে সেই শীতের দেখা মিলল প্রায় এক মাস পর। সকালের কুয়াশা প্রকৃতিতে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
বাতাসের শুষ্কতা আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভালোভাবেই জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। সকালের এ ঝিরিঝিরি বৃষ্টিই অবশেষে ডেকে আনল শীতলতা। এই শীতে নিম্নআয়ের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তা ও ধরলাতীরবর্তী ছিন্নমূল মানুষরা। রোববার (১৪ নভেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। যদিও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দাবি, অক্টোবর থেকে শীত শুরু হয়, ডিসেম্বরে মাঝামাঝি শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। ফলে এবার আগাম শীতের দেখা মিলেছে।
এদিকে তিস্তার আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা অনেকেই এখনও খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। আকস্মিক বন্যায় তাদের ঘরবাড়িসহ পরনের কাপড় পানির স্রোতে চলে গেছে। যার ফলে এসব মানুষ অনেক বিপদে রয়েছেন। বিশেষ করে ওই অঞ্চলের বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম দুর্ভোগের আছে।
বাজারগুলোতে তেমন দোকান-পাট খুলতে দেখা যায়নি। লোকজনের চলাচলও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। তারপরও পেটের টানে কিছু শ্রমিকঘর থেকে বেরিয়েছে। শীতে তিস্তা ও ধরলাপাড়ের লোকজনরা শীতবস্ত্র বিতরণ দাবি করেন তারা।
রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে ভোর থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। ঠান্ডায় ঠিকমতো রিকশা চালাতে পারছি না। ঠান্ডা তো শুরু হয়ে গেলো কবে যে শীতবস্ত্র পাব। এই ঠান্ডায় ইনকামও তেমন হয় না। পরিবারের মানুষদের শীতের কাপড় কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। কিন্তু কেউ আমাদের শীতের কাপড় দেয় না।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় জানান, গতকালের চেয়ে আজকের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি রয়েছে। তবে কুয়াশা অনেকটাই বেড়েছে। সূর্যের দেখা দুপুরে কিছুটা পাওয়া যেতে পারে। এবারের শীতের প্রকোপ অনেক বেশি হতে পারে।
বিএসডি/এসএসএ