গত দুদিনে থেমে থেমে টানা বৃষ্টির কারণে গাজীপুর থেকে ঢাকার প্রবেশ মুখ টঙ্গীতে যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সড়ক সংস্কারের গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানির কারণে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে উত্তরাজুড়ে বিআরটির সড়ক খননের কারণে সরু সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে নাভিশ্বাস উঠেছে ট্রাফিক বিভাগের।
টঙ্গী ও উত্তরায় যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় সৃষ্ট যানজটের প্রভাব পড়েছে পুরো এয়ারপোর্ট রোড় থেকে শুরু করে বনানী-মহাখালী হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যান চলাচলের গতি খুবই ধীর। কোথাও কোথাও দীর্ঘ সময় এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে উত্তরা ও টঙ্গী এলাকায়। যা দিনব্যাপী ট্রাফিক বিভাগের চেষ্টায় প্রশমিত হলেও এখনো যানবাহনের চাপে সড়কে রয়েছে ধীর গতি।
দুপুর সোয়া ২টা দিকে উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের পূর্ব জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংস্কার কাজের কারণে গাজীপুরের চেরাগ আলী এলাকায় তিন লেনের রাস্তায় দুই লেনই বন্ধ। গাড়ি চলাচল করছে এক লেনে। এতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। যে কারণে টঙ্গী ছাপিয়ে উত্তরা আব্দুল্লাপুর ও বাড্ডা, গুলশান-বনানীর সড়কও প্রভাবিত যানজটে।
তিনি বলেন, সড়কে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে। যানজট নিরসন ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় নজর বেশি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত থেকে অবস্থা খারাপ ছিল। দুপুরের পর একটু কমেছে যানজট। তবে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক বলা যাচ্ছে না।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বদরুল হাসান জানান, রাস্তার সংস্কার কাজ আর জমে থাকা পানির কারণে টঙ্গী চেরাগ আলীতে ৩ লেনের জায়গায় ১ লেনের গাড়ি চলছে। সেখানে অনেক বেশি চাপের কারণে গতি কমে গেছে যান চলাচলে। রাজধানীর বনানী পেরিয়ে মহাখালী পর্যন্ত প্রভাব পড়ছে সড়কে।
গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা থেকে উত্তরা হয়ে বের হওয়ার সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত। যার প্রভাব পড়েছে প্রবেশ মুখগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজধানীগামী সড়ক ও রাজধানী থেকে বিমানবন্দর হয়ে টঙ্গী গাজীপুরের সড়কে সড়কে তীব্র যানজট সকাল থেকেই। মূল সড়কের যানজটের প্রভাবে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে অলি-গলিতেও।
এয়ারপোর্ট বা উত্তরাগামী যানবাহনগুলো অনেকক্ষণ ধরে সড়কে আটকে থাকায় ইউটার্ন ও ইউলুপগুলোও বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে।
সুমন নামে এক বাস যাত্রী জানান, যানজটের মধ্যেই টঙ্গী ব্রিজে ট্রাক নষ্ট হয়েছে। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা যানজট আরও বেড়েছে। এয়ারপোর্ট, উত্তরার দিকে মুভ করার চিন্তাই করা ঠিক না।
দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, ইনকামিং স্বাভাবিক থাকলেও এখনো বের হওয়ার রাস্তা যান চলাচলের ধীরগতি রয়েছে। টঙ্গীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে সড়কে।
বিএসডি/এসএফ