নিজস্ব প্রতিবেদক,
নিউজিল্যান্ড দল বুঝে গেছে এখানকার উইকেটের চরিত্র কেমন হবে। বাংলাদেশে আসার আগেই সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছে তারা। কারণ, সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজে চোখ রেখেছিল কিউইরা। উইকেট যে স্পিন সহায়ক মন্থর হবে, সে নিয়ে দ্বিমত নেই সফরকারীদের। তবে পেসার হয়েও মুস্তাফিজুর রহমান যেভাবে বাজিমাত করছেন, সেটি দেখে রোমাঞ্চিত কিউইরা পেসাররা। টাইগার বধে ‘অফ কাটার’কে মূল অস্ত্র হিসেবে দেখছেন বেন সিয়ার।
সোমবার (৩০ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড দলের ডানহাতি পেসার সিয়ার বললেন, ‘আপনি অবশ্যই গতি ধরে রেখে বল করতে চেষ্টা করবেন। কিন্তু এখানকার উইকেট ভিন্ন রকমের। উইকেটের সাথে আপনাকে আরও স্মার্ট হতে হবে। নেটে করা প্রথম বলগুলো এমন যে ব্যাটসম্যান বাউন্ডারি হাঁকাবে। কখন কীভাবে বল করতে হবে এটা বের করতে হবে, বৈচিত্র্য ধরে রাখতে হবে। অফ কাটার সহায়ক হতে পারে।’
২১ বছর বয়সী সিয়ার এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগামী ১ সেপ্টেম্বর অভিষেক ক্যাপটিও মাথায় তোলার জোর সম্ভাবনা আছে তার। এ জন্য দারুণ রোমাঞ্চিত তিনি। সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশের সফরে এসে এখানকার আয়োজন নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন। সিয়ার কথা বলেছেন জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়েও।
বাংলাদেশে এসে অনুশীলনের সুযোগসুবিধা আর অভিষেক ইস্যুতে সিয়ার বললেন, ‘এটি পুরোপুরি ভিন্ন। একদমই আমাদের দেশের কন্ডিশনের মতো না। বিষয়টি আমার চোখ খুলে দিয়েছে। মনে হচ্ছে পুরো ভিন্ন এক পৃথিবী। অভিষেক হলে দারুণ হবে। দেশে খেলা হলে হয়ত আমি ১৫তম বোলার থাকতাম। এই সিরিজে মূল খেলোয়াড়রা নেই। আমার জন্য দারুণ সুযোগ।’
সঙ্গে যোগ করেন সিয়ার, ‘আমরা জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন আছি। হোটেলে নিজেদের আঙিনায় আছি, নিজেদের রুমে আছি। খুব বেশি মানুষের কাছাকাছি আসতে হচ্ছে না। দেশের লকডাউনের সাথে তুলনা করা যায়। খুব একটা ভিন্নতা নেই। এই প্রথম দেশের বাইরে খেলতে এসেছি। একটু অদ্ভুত, তবে এই পরিস্থিতি অনুযায়ী স্বাবাভিক।’
বিএসডি/আইপি