স্টাফ রিপোর্টার
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, যারা বিদেশে টাকা পাচার করে ঋণ সবার আগে তাদের দেওয়া হয়। কয়দিন আগে গল্প করেছিলাম, ‘একটি প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সেই প্রণোদনার টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক এখন কানাডায় অবস্থান করছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বরে) আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে এসএমই খাতে ২০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ১৫টি ব্যাংক ও ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখারসহ ১৫টি ব্যাংক ও ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত উদ্যোক্তারা ব্যাংকের ঋণ পায় না। অথচ যারা ব্রিফকেস নিয়ে অফিসে অফিসে ঘুরে, তারা সবার আগে ঋণ পায়। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার সুবাদে আজ যারা ধনী হয়েছেন, তারা কোথা থেকে এসেছেন, কী ছিলেন সবকিছুই আমরা জানি। আমাদের আরেক সহকর্মী ছিলেন তিনি যেভাবে হোক সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনি ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। তিনি মারা গেছেন। এখন তার পরিবারের পক্ষে ১০ টাকাও দেওয়া সম্ভব না। এই টাকাগুলো আর আসবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন সমাজের বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে। যারা দ্রুত গতিতে বড় লোক হচ্ছে তাদের গতি শ্লথ করে দিতে হবে। আর যারা পিপীলিকার গতিতে চলছে তাদের গতি বাড়িয়ে দিতে হবে। আজ কিন্তু দেশে পাকিস্তান আমলের মত ধনী পরিবারের সৃষ্টি হচ্ছে। যারা ঋণ নিতে পারে না তাদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তিন-চার-পাঁচটি কোম্পানির নামে তারা ঋণ নিয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এদেশ আমার, আপনার। আপনারা যদি ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেন তাহলে দেশের বেকার সমস্যার সমাধান হবে। নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, উদ্যোক্তাদের আরও বেশি টাকা দেওয়া প্রয়োজন। আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলব, কীভাবে উদ্যোক্তাদের জন্য এই ধরনের সাহায্য বাড়ানো যায়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মাত্র চার শতাংশ সুদে উদ্যোক্তাদের এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো জামানত ছাড়া দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তো জামানত দেওয়ার মতো কিছুই নাই। এই ঋণ ব্যবহার করে উদ্যোক্তারা তাদের করোনাকালীন ক্ষয়-ক্ষতি কিছুটা কমাতে পারবে বলে আশা করি।
বিএসডি/এমএম