বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা পরিণীতি চোপড়া টানা ৩ মাস একটুও ভালো ছিলেন না। সম্প্রতি অনলাইনে নিজের সেই ভালো না থাকার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
তার দাবি, ‘ওই মাসগুলোতে যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। অদ্ভুত দমবন্ধকর পরিস্থিতি। বাস্তব আর অবাস্তবের মাঝখানে অবস্থান ছিল আমার’। তিনি যে পরাবাস্তব দুনিয়ায় ছিলেন, এমনটাও জানাতে ভোলেননি।
কী কারণে এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন পরিণীতি? এর জন্য তিনি সরাসরি দায়ী করেছেন পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরিচালিত সিনেমা ‘সন্দীপ ঔর পিঙ্কি ফরার’-কেও। যে সিনেমায় তিনি ‘সন্দীপ’ ওরফে ‘স্যান্ডি’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
কীভাবে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে আজকের প্রজন্ম, সেই দিকটাই তুলে ধরা হয় সিনেমাটিতে। যেখানে প্রশাসনের তাড়া খেয়ে ক্রমাগত পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে সন্দীপ আর ‘পিঙ্কি’ ওরফে অর্জুন কাপুরকে। সিনেমাটি ইতিমধ্যেই দর্শক এবং সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত।
নিজের চরিত্র ‘সন্দীপ’ নিয়ে বলতে গিয়েই আগে বলা কথাগুলো বলেছেন পরিণীতি। তার যুক্তি, বরাবর তিনি হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছ্বল মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দর্শকেরাও তাই ভাবেন, বাস্তবেও অভিনেত্রী বোধ হয় এই রকমই। তার জীবনেও যে কষ্ট আসতে পারে, পর্দায় তিনিও যে সমস্যায় জর্জরিত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন, এ কথা কেউ ভাবতেই পারেন না। দর্শকদের সামনে নতুন পরিণীতিকে তুলে ধরতে গিয়ে যে ফলাফল এত মারাত্মক হবে, ভাবেননি তিনি। শুটিংয়ের ৩ মাস তাই একাকার ‘স্যান্ডি’ আর পরিণীতি। অভিনেত্রীর দাবি, ‘বিশাল ধকল গিয়েছে আমার মনের ওপর দিয়ে।’
নতুন পরিণীতিকে দর্শক একইভাবে মেনে নিতেই ঘোর কেটেছে অভিনেত্রীর। তৃপ্ত পরিণীতি জানিয়েছেন, এত দিন ধরে দর্শক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষাতেই ছিলেন। তার মতে, ‘মনে হচ্ছে, যেন সদ্য ঘুম ভেঙে উঠলাম। নতুন চরিত্রে অভিনয় করে ভীষণ ঝরঝরে লাগছে। পরীক্ষায় ভালো ফল করার আনন্দ উপভোগ করছি।’ পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিতেও ভোলেননি অভিনেত্রী।