নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিন ম্যাচের তিনটিই জয়। তাও প্রতিপক্ষকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে সবচেয়ে বড় বড় জয়গুলো তুলে নিয়েছে তারাই। কিন্তু তারপরও কি-না সেরা টিম কম্বিনেশন পায়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন দলের প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫২ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রানের দিক থেকে আসরে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। সেরা জয়টিও তাদেরই। এর আগে মিরপুরে মিনিস্টার ঢাকাকে ৬৩ রানে হারিয়েছিল তারা।
এদিন দুই প্রোটিয়া তারকা ফাফ দু প্লেসি ও ক্যামেরুন ডেলপোর্টের ফিফটি ও লিটন দাসের দারুণ এক ইনিংসে ভর করে প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান করেছিল কুমিল্লা। জবাবে ১৫ বল বাকি থাকতেই স্বাগতিকদের ১৩১ রানে গুটিয়ে দেয় দলটি।
আসরের শুরু থেকেই এবার দলগত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে কুমিল্লা। বিদেশিরা কেউ না কেউ কিছু করছেন। না পারলে এগিয়ে আসছেন স্থানীয় খেলোয়াড়রা। সব মিলিয়ে দারুণ ছন্দে দলটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আসরের অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশ গিয়ে আছে তারা।
এমন পারফরম্যান্সের পরও সেরা দলটি মাঠে পায়নি বলেই জানালেন সালাহউদ্দিন, ‘আমাদের কাছে মনে হয় আমাদের সম্ভাব্য সেরা কম্বিনেশনটা এখনও হয়নি। কারণ আমাদের সুনীল এখনও খেলেনি। মঈন আসলে সেও খেলবে। আমাদের সেরা কম্বিনেশনটা এখনও হয়তো হয়নি।’
তবে বিকল্প যারা নামছেন তারাও ভালো খেলায় কাজটা সহজ হচ্ছে বলে জানান এ কোচ, ‘তবে যারা আছে তারা ভালো পারফর্ম করছে। আমি অবশ্যই বলব আজকে ফাফ অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে এবং সেই সঙ্গে ডেলপোর্টও অনেক কার্যকরী একটা ইনিংস খেলেছে। যেটা আমাদের জন্য খুব একটা ভালো লক্ষণ। এমনকি করিম জান্নাতও কিন্তু ভালো সার্ভিস দিচ্ছে।’
একই সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দেরও অবদান দেখছেন তিনি, ‘আমার স্থানীয় বোলার ও ব্যাটসম্যানদের বলব সবাই তারা অবদান রাখছে। এটা টিমের জন্য ভালো লক্ষণ যে, আমরা একটা টিম হিসেবে খেলছি। যেখানে কারও উপর নির্ভর করতে হচ্ছে না। আশা করব ছেলেরা এটা ধরে রাখবে।’
আসরের শুরুতে মোমেন্টাম পাওয়ায় নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন এ কোচ, ‘প্রথম তিনটা ম্যাচের তিনটাই জিতেছি এটা আমাদের জন্য ভালো। কারণ টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হলে অটোম্যাটিক এটা পুরো টিমে প্রভাব ফেলে। ছেলেরা পেশাদারিত্ব ভালো দেখিয়েছে মাঠে। আমরা যেভাবে প্ল্যান করছি সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমি মনে করি টুর্নামেন্টের শুরুতে পয়েন্ট পাওয়া খুব ভালো ভাগ্যের ব্যাপার।’
আর সেই মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান এ কোচ, ‘টুর্নামেন্ট অনেক লম্বা। অনেক টিম মাঝ পথ থেকে মোমেন্টাম পায়, আমরা হয়তো প্রথমেই পেয়েছি। এটা আমাদের ধরে রাখা অনেক কষ্টকর হবে। কারণ দিনে দিনে অন্য টিম গুলোও একটা ভালো ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়ে যাবে। আশা করছি আমরাও এটা ধরে রাখতে পারব।’
বিএসডি / এলএল