নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ২২ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। টিকাদানে ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম অবস্থানে আছে।
শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রে নার্সিং পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। নার্সিং পরীক্ষায় ৪ হাজার ৭৯ জন অংশ নেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে, এটা আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই। টিকাদান কর্মসূচি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে ২২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ১২ কোটি প্রথম ডোজ; সাড়ে ৮ কোটি দ্বিতীয় ডোজ। বিশেষ ক্যাম্পেইনে এক দিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে টিকাদানে ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম স্থানে পৌঁছেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মতো বুস্টারে জোর দেওয়া হবে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। কয়েক দিনের মধ্যে এ কর্মসূচি শুরু হবে। সরকারের টিকা কিনতে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দেশে টিকার কোনো অভাব নেই।’
স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায়। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ১ শতাংশে ছিল; মৃত্যুও ছিল ৩ জনে। করোনাকে আমরা শূন্যের কোটায় নামাতে চাই। এই জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
দেশে গত বছরের ৭ ফেব্র“য়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে একদিনে ৭৬ লাখের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছিল। পরে বিশেষ গণটিকাদান চলে। শুধু ২৬ ফেব্রুয়ারিই দেশে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়।
বিএসডি/ এলএল