করোনা ভাইরাসের টিকা, করোনা পরীক্ষা ও মাস্ক পরাসহ করোনা সংক্রান্ত সরকারের নতুন কিছু নির্দেশনার বিরুদ্ধে প্রায় ২ হাজার তুর্কি শনিবার বিক্ষোভ করেছেন ইস্তাম্বুলে।
তুরস্কে এ ধরনের বিক্ষোভ এবারই প্রথম। বিভিন্ন দেশে এর আগে যে টিকাবিরোধী র্যালি হয়েছে তুরস্কের গতকালের মিছিল মূলত তারই প্রতিচ্ছবি। মিছিলে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ছিল না। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগান স্লোগানে উত্তাল করে রাখেন রাজপথ। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও তুরস্কের জাতীয় পতাকাও ছিল।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী ৪০ বছর বয়সী একজন বলেন, এই মহামারি আমাদের স্বাধীনতা আরও কেড়ে নিচ্ছে, আর এর কোনো শেষ নেই। মাস্ক, টিকা, পিসিআর টেস্ট এসব হয়তো বাধ্যতামূলক করা হবে। আমরা এখানে এসবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে এসেছি।
দেশের অভ্যন্তরে বিমানে উঠতে, বাসে ও ট্রেনে উঠতে এবং বড় লোক সমাগম এমন সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সোমবার তুরস্ক সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, হয় টিকা নেওয়ার প্রমাণ থাকতে হবে নয় করোনা টেস্টের নেগেটিভ ফল থাকতে হবে।
বিদ্যালয়ে কাজ করেন কিন্তু এখনও টিকা নেননি, এমন প্রত্যেকের জন্য সপ্তাহে দুবার করে পিসিআর টেস্টের নিয়ম করা হয়েছে। এছাড়া মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে পাবলিক প্লেসে।
তুরস্কে এ পর্যন্ত ৬৩ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন। মোট ১০ কোটি ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
তারপরও দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় ২৩ হাজারের মানুষ নতুন করে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোসা মূলত এর জন্য যারা টিকা নেননি তাদেরই দায়ী করেছেন।
শনিবার এক টুইটে তিনি লিখেছেন, টিকাই শেষ সমাধান। এটা বাধ্যতামূলক করাটাই এখন জরুরি।
শনিবার আয়োজিত এ মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল। এতে অংশ নেওয়ার জন্য টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র বা করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। মিছিলে কোথাও বাধাও দেয়নি পুলিশ।
সরকারি বিভিন্ন বিধি-নিষেধের বিরোধিতা করে গড়ে ওঠা প্যানডেমিক রেজিসট্যান্স মুভমেন্টের একজন বলেন, আমরা সমস্ত বিধিনিষেধের বিপক্ষে। টিকার বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণ না। আমরা মনে করি এটা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স।