ডা. দিদারুল আহসান
ব্রণ টিনএজারদের সচরাচর সমস্যা। ব্রণ বা একনে শতকরা ৮০ ভাগ টিনএজারদের সমস্যা। ত্বকের সৌন্দর্যহানির জন্য ব্রণ দায়ী। ছেলেদের ব্রণ তীব্রতার দিক থেকে বেশি হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে সামাজিক কারণে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি এক প্রকার বিড়ম্বনা।
ত্বকের ভেতর অবস্থিত সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামক এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ বের হয় এবং লোমকূপের গোড়া দিয়ে ত্বকে এসে যায়। সেবাম উৎপাদন বেড়ে গিয়ে এবং এর নির্গমনের পথ বন্ধ হলে ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রোপাইনো ব্যাকটেরিয়াম একনে হচ্ছে ব্রণের জীবাণুর নাম। এন্ড্রোজেন হরমোনের কারণে ব্রণ বেশি হয়। এন্ড্রোজেনের প্রভাবে সেবাম নিঃসরণ বেড়ে যায়। টিনএজারদের শরীরে এই হরমোনের কার্যকারিতা বেশি হয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও মাথায় খুশকি আছে তাদের ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যারা ধুলোবালু ও রোদে বেশি বের হয় তাদেরও ব্রণ হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও ব্রণের তীব্রতা বাড়ায়।
ব্রণ দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে। গুটিগুটি, দানাদার, লালচে গোটা, পুঁজসহ দানা, বড় চাকা ইত্যাদি হতে পারে। ব্রণের সঠিক চিকিৎসা না হলে বাজে ধরনের কালো দাগ পড়তে পারে। এ ছাড়া মুখে ছোট ছোট ক্ষত বা গর্ত সৃষ্টি হতে পারে। সৌন্দর্যহানি ও মানসিক নানা ভোগান্তির শিকার হয় ব্রণের রোগীরা। ব্রণের হাত থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
ব্রণের চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী। তাই রোগীর ধৈর্যধারণ প্রয়োজন। আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে ব্রণের চিকিৎসা নিলে ব্রণ ভালো হবে। তবে এরপরে আর কখনও ব্রণ উঠবে এমন বলা যায় না।
মুখ পরিষ্কার রাখা বা ত্বক সঠিক নিয়মে পরিষ্কার করা ব্রণের রোগীদের ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজন। সঠিক সাবান দিয়ে দিনে তিনবার মুখ ধুতে হবে। আবার ব্রণের কালো দাগের রয়েছে আলাদা চিকিৎসা। তাই ব্রণের চিকিৎসার পাশাপাশি আগের ব্রণের কালো দাগ নির্মূলের জন্যও চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। ব্রণ হলে হাত দিয়ে খুঁটবেন না এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা করান। মনে রাখবেন, মুখ মনের আয়না।
ডা. দিদারুল আহসান
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আলরাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।
বিএসডি/এমএম