গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং ২২ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ ছেলে মো. আরকান (১৯) ও একই ক্যাম্পের মৃত নুর আলমের ছেলে মহিবুল্লাহ (৩৭)। এপিবিএনের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক কারবার ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এপিবিএন-১৬-এর অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ক্যাম্পে বি-৩ ব্লকে কয়েক রোহিঙ্গা মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছেন, এমন তথ্য পান তাঁরা। এ সংবাদের ভিত্তিতে চাকমারকুল এপিবিএন ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালান। রাতে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাদক কারবারিরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিনসহ পাঁচটি গুলি ও চার হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
পরে মাদক কারবারিদের টেকনাফ থানা-পুলিশে সোপর্দ করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলিম বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইন দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে এপিবিএন। এ মামলায় তাঁদের গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরের দিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল