আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি সর্দিতে ভুগছেন এবং তার কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়নি। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিভিশনে প্রচারিত এক বৈঠকে রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্টকে একাধিকবার কাশি দিতে দেখা যায়।
পরে নিজের কাশির বিষয়ে তিনি বলেন, দুঃশ্চিন্তা করবেন না। সবকিছু ঠিক আছে। সরকারের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পুতিন বলেন, কর্মকর্তারা শুধুমাত্র করোনা নয়; প্রত্যেকদিন অন্যান্য সংক্রমণেরও পরীক্ষা করেন এবং সবকিছুই ঠিক আছে।
ঘোষণা ছাড়াই সরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত বৈঠকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষি বিষয়ে আলোচনা করতে দেখা যায় পুতিনকে। এ সময় তাকে বেশ কয়েকবার কাশি দিতে শোনা যায়। পরে সরকারের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষের স্পিকার ভ্যালেন্সিয়া মাটভিইয়েনকো পুতিনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রত্যেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
জবাবে পুতিন বলেন, ‘আমি ঠাণ্ডা বাতাসে ছিলাম এবং সক্রিয়ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু ভীতিকর কিছুই ঘটেনি।’ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি জানি আপনারা সবাই টিকা নিয়েছেন এবং পুনরায় টিকা নিতে ভুলবেন না।’
গত সপ্তাহে ৬৯ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। একেবারে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক ডজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত মাসে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে যান রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট। তবে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি তার।
আইসোলেশনের দুই সপ্তাহ পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন তিনি। যদিও তারপর থেকে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করছেন।
রাশিয়ায় সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারির সবচেয়ে বিপর্যয়কর ধাক্কা শুরু হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। দেশটির কর্মকর্তারা টিকাদানের নিম্ন হারের কারণে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে বলে মনে করছেন।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ লাখের বেশি মানুষ। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ গেছে গত জুলাই এবং আগস্ট মাসে। এই দুই মাসে রাশিয়ায় করোনায় প্রাণহানি ঘটেছে এক লাখ মানুষের।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।